এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য পার্থ চ্যাটার্জির! শুরু তীব্র বিতর্ক

জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য পার্থ চ্যাটার্জির! শুরু তীব্র বিতর্ক


তিন রাজ্যে উপনির্বাচন হলো আজ। এই উপ নির্বাচন ঘিরে আগে থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছিল। উপ নির্বাচনের দিন এই চাপানউতোর মারাত্মক আকার ধারণ করল করিমপুরে। এদিন সকালে করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার এর ওপর হামলা চলল প্রবলভাবে। রীতিমতো কিল-ঘুষি-লাথি পড়ে তাঁর ওপর। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সমস্ত ঘটনার পেছনে তাঁরা শাসক দলকেই দায়ী করেছে। অন্যদিকে, শাসক শিবির থেকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

করিমপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার এর ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের সামনে বলেন ‘লাথিটা কার, বিজেপির লোকের না জনগণের, দেখা হোক।’ সোমবার বিকেলে সাংবাদিকরা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এর ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘যারা মেরেছে তারা বিজেপির লোক না জনগণ তা জানতে হবে। ওরা তো ভোট দিতেই জানে না। স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছে ভোট দিতে। হারবে জেনে কাচরাবাবু সাংবাদিক বৈঠক করতে বসেছেন।’ নাম না করেও এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুকুল রায়কে কটাক্ষ করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সোমবার কালিয়াগঞ্জ, খড়্গপুরের সাথে করিমপুর বিধানসভাতেও উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। করিমপুর এর আবহাওয়া ছিল যথেষ্ট উত্তপ্ত, কিন্তু তার মধ্যেই ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে‌। নির্দিষ্ট সময়ে ভোটগ্রহণের দিন সকালেই করিমপুরের ঘিয়াঘাটে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার।

তাঁকে লাথি মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরের দাবি ঘটনার সময় সামনে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত ছিল, তাও বাধা দেয়নি। ইতিমধ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে এলাকার থানায় নজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আগামীকাল এই বিষয়টি বিজেপি শিবির সংসদে উত্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন।

পার্থবাবুর এই মন্তব্যের পরেই ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য হল, জয়প্রকাশ মজুমদার এর ওপর হামলার ঘটনায় পার্থ চ্যাটার্জির এহেন বক্তব্য হামলাকে সমর্থন জানাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, বিরোধীদলের নেতাদের শারীরিক নিগ্রহ কি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সমর্থন পাওয়ার যোগ্য?

প্রথম থেকেই এবারের উপনির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সাজো সাজো রব দেখা দিয়েছিল। প্রত্যেকেই উপনির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রচার চালিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন জয়প্রকাশ মজুমদার এর ওপর হামলার ঘটনায় তুমুল সমালোচনার ফেটে পড়েছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে শাস্তির দাবি জানিয়েছে। বিরোধী শিবির প্রথম থেকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসক শিবিরের দিকে। আপাতত নির্বাচন কমিশনে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কি ব্যবস্থা নেয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!