এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ৮০% আসন জিতে ক্ষমতায় আসতে বিধানসভার আগে বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা মুখ্যমন্ত্রীর

৮০% আসন জিতে ক্ষমতায় আসতে বিধানসভার আগে বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা মুখ্যমন্ত্রীর


সামনেই দীপাবলি – তার আগে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হলো সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায়। এবার মাস দুয়েকের মধ্যেই নির্বাচন হতে চলেছে ঝাড়খণ্ডে। আর ঝাড়খণ্ড নিয়ে এবার বিজেপিকে বড় ধাক্কা দিতে চলেছে জনতা দল ইউনাইটেড অর্থাৎ জেডিইউ। ঝাড়খন্ডে ভোটের প্রাক্কালে পদ্ম শিবিরে দলবদলে হাওয়ায় বহু প্রার্থী এসেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও জেডিইউ এর তরফ থেকে বিজেপিকে সাথে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের ভোটে লড়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হল।

ঝাড়খণ্ডে সর্বাধিক আসন জেতার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জে ডি ইউ এর পক্ষ থেকে বলে জানা গেছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জোটসঙ্গী বিজেপি। কিন্তু সেই বিজেপিকে সঙ্গে নিয়েই ঝাড়খন্ড ভোটে লড়তে নারাজ জেডিইউ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জোট সঙ্গী করতে ইচ্ছুক নন বলে জানা গেছে। তবে এর কোন প্রভাব বিহারে পড়বে না বলেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে শুধু জেডিইউর তরফ থেকে নীতিশ কুমারই নন, বিজেপির তরফ থেকেও এই একই কথা বলা হয়েছে।

ঝাড়খন্ডে বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে জেডিইউ-এর এক প্রবীণ নেতা জানালেন, ঝাড়খণ্ডের 81 টি আসনের মধ্যে 65 টির বেশি আসনে জয়লাভ করতে চাইছে জেডিইউ অর্থাৎ মোট বিধানসভা আসনের ৮০% জয়ের লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে। আর সেই লক্ষ্য পূরণে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে তাঁরা। তাই বিজেপির সঙ্গে জোট কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে জেডিইউ। প্রসঙ্গত, 2000 সালের নভেম্বরে বিহার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝাড়খণ্ড একটি আলাদা রাজ্যের রূপ নেয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তারপর থেকে এ রাজ্যে তিনটি বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু কোনো নির্বাচনেই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন তো দূরের কথা, দুই অঙ্কের আসনও পায়নি জেডিইউ। ঝাড়খণ্ডের জোট শরিক ছিল বিজেপি ও জেডিইউ। 2013 সালে সেই জোট বিচ্ছেদ হয়। এমনকি, 2013 সালে নীতিশ কুমার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নরেন্দ্র মোদীর উত্থান প্রসঙ্গে বিরোধিতা করেন এবং এনডিএ ছেড়ে তিনি বেরিয়ে আসেন। তারপর থেকে সেই জোট আর জোড়া লাগেনি ঝাড়খন্ডে। যদিও বিহারে কিন্তু জোট সরকারই রাজ্য চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গত 2005 সালে প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ 6 টি আসন পেয়েছিল। নীতিশ কুমার এর দল 4 শতাংশ ভোট পেয়ে থেমে গিয়েছিল। 2009 সালে জেডিইউ-এর দুটি আসন কমে যায়। ভোট নেমে আসে 2.8 শতাংশে। আর 2014 সালে জেডিইউ মাত্র 1 শতাংশ ভোট পায়। 2014 সালের বিধানসভা ভোটে জেডিইউ আটটি আসনে প্রার্থী দেয়। কিন্তু, ঝাড়খণ্ডে বারবার ব্যর্থতা এলেও এবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়েছে নীতিশ কুমারের দল। আর তাই, বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া ভাঙতেও দুবার ভাবে নি।

এদিকে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ জেডিইউ-এর কার্যকরী কার্যনির্বাহী সভাপতি জানান, ডিসেম্বরের নির্বাচনে ঝাড়খন্ডে একটি শক্তিশালী দল হিসেবে মাথা তুলতে চাইছে জেডিইউ। আর সেই কারণেই সাংগঠনিক ভিত গড়ে তোলা হয়েছে নতুন করে। এবার সেই কথা মাথায় রেখেই ঝাড়খন্ড রাজ্যে সাফল্য আনাই জেডিইউ-এর মূল লক্ষ্য বলে জানা গেছে। আর তাই একক শক্তিতেই ঝাড়খণ্ডে বাজিমাত করতে চায় বিহারের শাসকদল বলে দাবি করা হয়েছে। আর তাই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই এক লড়ার অঙ্গীকার নিয়ে বড়সড় ধাক্কা দিলেন জোটবন্ধু বিজেপিকে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে সমগ্র পরিস্থিতি বিচার করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজেপির পাল্লা ভারী। তাই বিজেপির সাথে জোট করলে আখেরে সরকার গড়তে সুবিধাই হবে‌। তবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে। সেই ভাবনাকে কাজে লাগাতে যে কোন দলই প্রস্তুতি নেয়। আপাতত ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের পটভূমিকায় কোন রাজনৈতিক দল কি ভূমিকা নিতে চলেছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!