এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > যে জনসমাগম হলদিয়ার সভায় হয়েছে,তা কোনও সিপিএম বা টিএমসি দেয়নি, ফের বিস্ফোরক শুভেন্দু

যে জনসমাগম হলদিয়ার সভায় হয়েছে,তা কোনও সিপিএম বা টিএমসি দেয়নি, ফের বিস্ফোরক শুভেন্দু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল শিবিরে থেকে শুভেন্দু অধিকারী বিক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করতেই দেখা যায় তাঁর অনুগামীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। সব মিলিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব ক্রমশ বেড়েই চলেছে এবং এই দূরত্ব কমার সম্ভাবনা আর যে নেই সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিলেও এখনো পর্যন্ত বিধায়ক কিংবা প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়েননি। এই অবস্থাতেই তিনি  অরাজনৈতিক সভা করে চলেছেন বিভিন্ন জায়গায়। আর সেই সভা থেকেই তৃণমূল এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেও গেরুয়া শিবিরের প্রতি কিন্তু সেই ক্ষোভ শোনা যাচ্ছেনা শুভেন্দুর গলায়।

আর এই নিয়েই হুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন। সম্প্রতি হলদিয়ায় সতীশ সামন্তর 121 বছর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সেখানেই তিনি নতুন করে বহিরাগত ইস্যু নিয়ে মুখ খোলেন। তবে সিপিএম ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বললেও বিজেপির বিরুদ্ধে কিন্তু সেভাবে সরব হননি শুভেন্দু। পাশাপাশি শুভেন্দু মিলেমিশে গণতান্ত্রিক অবস্থানের পথে হাঁটছেন বলে বার্তা দিয়েছেন। এদিন সতীশ সামন্তকে নিয়ে বলতে গিয়ে শুভেন্দু জানান, জওহরলাল নেহেরুকে কখনোই বহিরাগত বলেননি সতীশ সামন্ত। এমনকি জওহরলাল নেহেরু সতীশ সামন্তকে যথেষ্ট সমীহ করে চলতেন।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভারতবর্ষে থেকে যে ডেলিগেশন গিয়েছিল, সেই ডেলিগেশনে সতীশবাবুকে প্রতিনিধিত্ব করাতেন জহরলাল নেহেরু। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুও কখনো সতীশ সামন্তকে অহিন্দিভাষী বলে ভাবতেন না। এর পরেই ভারতমাতা প্রসঙ্গ নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী স্বামী বিবেকানন্দের ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। সবমিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারীর কথায় কোনো-না-কোনোভাবে এদিন গেরুয়া শিবিরের প্রতি ঝুঁকে থাকার সম্ভাবনা দেখা গেল। বহিরাগত ইস্যু নিয়ে তৃণমূল-বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ করলেও এদিন সেই বহিরাগত ইস্যুকেই পজিটিভলি নিজের বক্তব্যে চাতুরতার সঙ্গে প্রয়োগ করেছেন শুভেন্দু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে ভারতমাতা প্রসঙ্গেও শুভেন্দু অধিকারী বাংলাকে জুড়ে দিয়েছেন। ইদানীংকালে ভারতমাতা নিয়েও বহু বিতর্ক হয়েছে রাজ্যে। এর পরেই শুভেন্দু অধিকারী পরিষ্কার জানিয়ে দেন হলদিয়া ভারতের মধ্যেই। তাই ভারতকে বাদ দিয়ে কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। এখানেও কেন্দ্রকে তিনি মান্যতা দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী এদিন পরিষ্কার করে জানান, ব্যক্তি আক্রমণে তিনি বিশ্বাসী নন। কিন্তু সিপিএম-তৃণমূল থেকে যে তাঁকে বারংবার এই ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয় সে কথাও বলেন। এর পরেই তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে রীতিমতন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন হলদিয়ার সভায় যে জনসমাগম হয়েছে, তা সিপিএম বা তৃণমূলের কারণে নয়।

তাঁর সঙ্গে মানুষের যে আত্মিক যোগ আছে সে কারণেই জনসমাগম হয়েছে বলে দাবী করেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, এদিন হলদিয়ায় শুভেন্দুর সভায় নজরকাড়া ভিড় জমেছিল বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে এদিন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কিংবা সিপিএমের বিরুদ্ধে চড়া সুরে কথা বললেও বিজেপির বিরোধিতা কিন্তু তাঁর গলায় শোনা যায়নি। পাশাপাশি তিনি মিলেমিশে অবস্থান বলতে দলের ওপরে যে মানুষের সেবা থাকবে সেকথা স্পষ্ট করেন। শুভেন্দু অধিকারী এখনো পর্যন্ত তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেননি। যার ফলে গেরুয়া শিবির প্রাথমিকভাবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানালেও এখন আর গেরুয়া শিবির থেকেও বিশেষ কিছু শোনা যাচ্ছেনা।

অন্যদিকে শুভেন্দু যেহেতু এখনও তৃণমূলের বিধায়ক তাই তাঁর বিরুদ্ধেও বিশেষ কেউ মুখ খোলেনি তৃণমূল থেকে। সব মিলিয়ে হলদিয়ার জনসভার থেকে শুভেন্দু অধিকারী যে খোলাখুলি তৃণমূলকে এবং সিপিএমকে এক সারিতে বসিয়ে আক্রমণ চালালেন তা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পাশপাশি শুভেন্দু অধিকারীর গণঅবস্থান একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নতুন কি আঙ্গিক বহন করে আনে সেদিকেই এবার নজর সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!