এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > যে কোন দিন বিজেপিতে যোগদান শুভেন্দু অধিকারীর? কি বলছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজে?

যে কোন দিন বিজেপিতে যোগদান শুভেন্দু অধিকারীর? কি বলছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজনৈতিক মহলে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জোরদার চর্চা চলছে। বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে দাবি তুলছেন, শুভেন্দু অধিকারী যেকোন মুহূর্তে অনুগামীদের নিয়ে দল ছাড়তে পারেন। আবার দলের অন্দরে এও গুঞ্জন রয়েছে, দলনেত্রীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার কারণে শুভেন্দু অধিকারী এবার দিল্লী পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালের যত রকম জল্পনা ও রাজনৈতিক চর্চা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে হচ্ছিল, তা শনিবার আরো বেশ খানিকটা উস্কে দিলেন স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী।

শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক ও রাজনৈতিক উড়ানের কেন্দ্রস্থল নন্দীগ্রামে দাদার অনুগামীদের পক্ষ থেকে একটি বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চ থেকেই দলের নেতাদের নাম না করে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে থাকেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উচ্চপদস্থ তৃণমূল নেতাদের এহেন কটাক্ষ, প্রতিকটাক্ষের কারণে যথারীতি তৃণমূল নেতৃত্ব অস্বস্তির মুখে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ঘিরেও শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী কোলাঘাটের একটি বিজয়া সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি দলের বিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে থাকেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক জীবনে তিনি যেমন প্যারাসুটে নামেননি, সেরকম লিফটেও অঠেননি। নিজের বদল সম্পর্কে জনগণের কাছে প্রশ্ন রাখেন এদিন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে এই সভায় শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, মানুষের কাজ করতে গেলে কোন ছাড়পত্র যেমন লাগেনা, তেমন কোন পদও লাগেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পাল্টা জানিয়েছেন, রাজ্য বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য সদরদপ্তর মুরলীধর সেন লেনে নিয়ে যাক। মোদ্দা কথা, তৃণমূল শিবিরে শুভেন্দু অধিকারী ভার্সেস ফিরহাদ হাকিমের বাকযুদ্ধ ভালোই ঘনিয়ে উঠেছে। অন্যদিকে এদিন সুলঙগুড়িতে চা-চক্রে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে গেরুয়া শিবিরের পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এদিন মেদিনীপুরে গিয়েও দিলীপ ঘোষ জানান, দলের দরজা সবার জন্যই খোলা। তবে তৃণমূল থেকে শুভেন্দু অধিকারী দলে আসতে পারেন কিনা, তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী এবং ফিরহাদ হাকিমের বাকযুদ্ধ নিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এটি তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সেক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষের এদিন স্পষ্ট করেছেন তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ গন্ডগোল আগেও ছিল এবং আগামী দিনে আরো বাড়বে। তবে বিজেপি এখন শুধুমাত্র একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকেই নজর রাখছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের তথা দলনেত্রীর দূরত্বের কারণে বিভিন্ন জায়গায় ধীরে ধীরে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

তবে শুভেন্দু অধিকারী এবং ফিরহাদ হাকিমের বাকবিতন্ডা নিয়ে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর মতো জনপ্রিয় নেতা যদি একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে গিয়ে যোগ দেন তাহলে তা কিন্তু তৃণমূলের পক্ষে আগুনে ঝাঁপ দেয়ার সামিল। কারণ শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু নিঃসন্দেহে একজন জনপ্রিয় নেতা এবং যার হাত ধরে তৃণমূলের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠেছে অতীতে। এহেন শুভেন্দু অধিকারী দলবদল করলে তৃণমূল শিবিরে ভাঙন অবশ্যম্ভাবী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!