যে কোন মুহূর্তে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে তৃণমূল সরকার? জল্পনা বাড়িয়ে বড়সড় ঘোষণা সৌমিত্রর উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজ্য November 29, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শুক্রবার জোড়া ধাক্কা ছিল তৃণমূলের। সেদিন প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন, আবার সেই দিনই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন কোচবিহার দক্ষিণের সাংসদ মিহির গোস্বামী। এদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের বেশ কিছু বিধায়ক। যাদের মধ্যে আছেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ী। এই আবহে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানালেন যে, তৃণমূল সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য খুব তাড়াতাড়ি ডাকতে পারেন রাজ্যপাল। একাধিক বিধায়কের বিক্ষোভে যখন বিপর্যস্ত শাসকদল তৃণমূল। সেই আবহে তৃণমূলের প্রতি এই মন্তব্য করে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন বহুগুণে। প্রসঙ্গত, আগামী ৮ ই ডিসেম্বরের বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল উত্তরবঙ্গের বহু জেলায় সাংগঠনিক বৈঠক করলেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। জলপাইগুড়িতে এসে তিনি দাবি করেছেন যে, একমাস পরে তৃণমূলের অস্তিত্ব সংকট তৈরি হতে চলেছে। তৃণমূল সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে কিনা? তা দেখতে খুব শিগগিরই মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকতে পারেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জানালেন যে, শাসকদল তৃণমূলের সুব্রত মুখোপাধ্যায়, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ বহু নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ আছে বিজেপির। তবে, বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁর এই বক্তব্যকে আমল দিল না তৃণমূল শিবির। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানালেন যে, সৌমিত্র খানের এই দাবি ভিত্তিহীন। তাঁর দাবি, তৃণমূলই জিতবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, গতকাল সকালে রায়গঞ্জের চা-চক্র থেকে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু জানিয়েছিলেন যে, আগামী ৭ ই ডিসেম্বরের আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকার। তিনি দাবি করেছেন যে, একমাত্র পিসি ও ভাইপো ছাড়া আর কেউই থাকবে না তৃণমূলে। তাই ৭ ই ডিসেম্বরের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন কিনা? তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, এরপর রাজ্যপালের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রী আস্থাভোট ডাকতে বাধ্য হবেন। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর নিজে কখনোই আস্থাভোট ডাকবেন না। প্রসঙ্গত, আগামী ১ লা ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের সমস্ত ব্লকে আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে জেলা তৃণমূল সভাপতিদের। আবার, আগামী ৭ ই ডিসেম্বর থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রাস্তায় নামবেন বলে জানা গেছে।এ প্রসঙ্গেই এমন মন্তব্য করেছিলেন সায়ন্তন বসু। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর পর সৌমিত্র খাঁর একই ধরনের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা বহুগুণে বাড়িয়ে দিল। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -