এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বাংলায় আলকায়দার জাল ছড়াতে টার্গেট শিশু মন! শিক্ষাদানের নাম চলছে ‘জেহাদি’ মগজ ধোলাই?

বাংলায় আলকায়দার জাল ছড়াতে টার্গেট শিশু মন! শিক্ষাদানের নাম চলছে ‘জেহাদি’ মগজ ধোলাই?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- জগতে সবথেকে সরল এবং নির্ভরযোগ্য জায়গা হচ্ছে শিশুরা। কারণ তাদের মধ্যে বয়সের খাতিরে মানসিক জটিল প্রবৃত্তিগুলো গড়ে ওঠে না। তাই কথায় বলে, শিশুমন অনেকটা কাদার তালের মত। তাই ছোটবেলায় যেমন ভাবে তাকে গড়া যায় তেমনই সে আকার লাভ করে। যে কারণে লক্ষ্য করে দেখা যায় ছোটবেলাতেই কিন্তু শিশুমনে আদর্শবাদীতা, মূল্যবোধ এগুলির পাঠ দেওয়া হয়, যাতে তারা বড় হতে হতে জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এই শিক্ষাকেই কাজে লাগাতে পারে, ভালো জিনিস শেখার জন্য প্রস্তুত থাকে। তেমনি অত্যধিক সরলতার কারণে শিশুমনকে আবার খুব সহজেই খারাপের দিকেও ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। তাই বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনগুলিতে দেখা যায় ছোট ছোট শিশুদেরকে নিয়ে গিয়ে ছোট থেকেই তাদের মধ্যে একটা উগ্র মানসিকতা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা।

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে যে সমস্ত জঙ্গিদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের সঙ্গে তদন্তে গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এসেছে এমনই কিছু তথ্য। যেখানে জানা গেছে, নওদাপাড়া গ্রামের সঙ্গে জলঙ্গীর মধুবোনা গ্রামেও জঙ্গি প্রতিষ্ঠান চালানো হতো নাবালকদের পাঠ দেওয়ার জন্য। কারণ গোয়েন্দারা তদন্ত করে জানতে পেরেছেন সেই জেহাদী পাঠ দেওয়ার কারণ ছিল সংগঠনের শিকড়কে সমাজের গভীরে পৌঁছে দেওয়া। আর ছোটরাই যেহেতু সমাজের ভিত তাই ছোটদের থেকেই শুরু করা হতো এই প্রশিক্ষণ। আর যার মাধ্যমে একটি দল গড়ে তোলার চেষ্টায় ছিল তারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনভাবে আল-কায়েদার জঙ্গিগোষ্ঠী ও শিশুদের শিক্ষার নামে মগজ ধোলাই করে বলে জানা যায়। মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি এলাকায় এই কাজ শুরু করে দিয়েছিল ধরা পড়া সেই জঙ্গি গোষ্ঠী। সেখানে বিকেলের দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রতিষ্ঠানটি চলতো বলেও জানা যায়। মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত জঙ্গী আল মাহমুদ কামাল এই প্রতিষ্ঠানটি চালাতো বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এছাড়া আবু সুফিয়ানও শিশুদের “শিক্ষার” ক্ষেত্রে যোগদান করত বলেও জানা যায়। প্রথমে নাবালকদের ধর্মীয় পাঠ দেওয়া হতো এবং তাদের মনে একটি উগ্র মনোভাব তৈরি করার প্রচেষ্টা চালানো হত। সেই খাতিরে এক বিতর্কিত লেখকের লেখা কিছু বই পড়ে শোনানো হত বলে জানা যায়। আবার অনেক সময় নাবালকদেরকে সেই বই উপহারও দেওয়া হতো। জলঙ্গীর ঘোষপাড়া থেকে এমন একটি বই উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। যে নাবালকের বাড়ি থেকে বইটি উদ্ধার করা হয়েছে সেই পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, এই বইটি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিশুকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে আরও জানা যায় যে মইনুল ছাড়াও সেখানে আরো একজন নাবালকদের পাঠ দেওয়ার কাজ করত। তবে তা জেহাদী তৈরীর পাঠ ছিলনা।

অন্যদিকে, নওদাপাড়া, জলঙ্গীর মধুবোনা গ্রামগুলি ছাড়াও সামশেরগঞ্জ, সূতি, লালগোলার মতো এলাকাতেও জঙ্গিরা এমন উদ্যোগ নিয়েছিল বলেও জানা যায়। যেখানে জঙ্গিরা সংগঠনের বীজ নাবালকদের মনের গভীরে ছড়িয়ে দেবার প্রচেষ্টায় ছিল, অন্যদিকে সেই নাবালকের অভিভাবকরা কিন্তু এই পাঠের কথা কিছুই জানতে পারতেন না। সরল বিশ্বাসে তারা তাদের সন্তানদের কিছু ভালো শিক্ষার আশায় প্রতিষ্ঠানে পাঠাতেন বলেই জানা যায়। তবে জঙ্গিরা তাদের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে বেশ শক্ত পোক্ত পরিকল্পনা নিয়ে ছিল বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। তবে আপাতত ওই প্রতিষ্ঠানে অংশ নেওয়া নাবালকদের মধ্যে থেকে কারোরই কোনো বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেই জানা গেছে তাদের পরিবারের তরফ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!