এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > জেলা কমিটিতে বিপ্লব মিত্র বা তাঁর ভাই প্রশান্ত মিত্র র , জোর শোরগোল!

জেলা কমিটিতে বিপ্লব মিত্র বা তাঁর ভাই প্রশান্ত মিত্র র , জোর শোরগোল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এককালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের শেষ কথা বলতেন বিপ্লব মিত্র। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে অর্পিতা ঘোষ পরাজিত হওয়ার পর তাকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর পরেই জেলা পরিষদের বেশকিছু সদস্য নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন সেই বিপ্লব মিত্র। তবে বিজেপিতে যোগদান করলেও সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি তাকে। পরবর্তীতে প্রায় 18 মাস বিজেপিতে থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে।

সম্প্রতি আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি। যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নতুন সভাপতি গৌতম দাস এবং চেয়ারম্যান শংকর চক্রবর্তী জেলা কমিটি গঠন করার পর সেই বিপ্লব মিত্রকে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখবেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন জেলা কমিটিতে বিপ্লব মিত্র বা তার ভাই তথা গঙ্গারামপুর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের কোনো জায়গা না থাকায় এবার তীব্র গুঞ্জন তৈরি হল গোটা জেলাজুড়ে। তাহলে কি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসলেও সেভাবে আগের মত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গুরু দায়িত্ব পাবেন না বিপ্লব মিত্র? কিন্তু তার মত একজন হেভিওয়েট নেতাকে কাজে না লাগালে তিনি তো আরও অসন্তুষ্ট হবেন! স্বভাবতই এখন বিপ্লব মিত্রের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গোটা জেলাজুড়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস। শুধু জেলা কমিটি নয়, বিভিন্ন টাউন এবং ব্লকের কমিটিও ঘোষণা করা হয়। একইভাবে সেদিনই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা কমিটির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্লক এবং টাউন কমিটির সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেন জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি অম্বরিশ সরকার। আর সেই কমিটিতে বিপ্লব মিত্রকে শীর্ষস্থানে রাখা হবে বলে তার অনুগামীরা আশা করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কমিটি ঘোষণার সময় নিরাশ হতে দেখা যায় বিপ্লববাবুর অনুগামীদের। জেলা কমিটির কোনো জায়গায় নাম নেই হেভিওয়েট নেতা বিপ্লব মিত্র এবং তার ভাই প্রশান্ত মিত্রের। স্বাভাবিকভাবেই তারা তৃণমূলে যোগদান করলেও, এখন তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কী হবে, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে। এদিন এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিপ্লব মিত্রর অনুগামী এক তৃণমূল নেতা বলেন, “যেভাবে কমিটি তৈরি করা হয়েছে, তাতে সংগঠন কতটা মজবুত হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ দায়িত্বপ্রাপ্তদের অধিকাংশেরই সাংগঠনিক দক্ষতা নেই বললেই চলে। বিপ্লব মিত্র ছাড়া জেলায় দলকে টিকিয়ে রাখা সমস্যা।”

কিন্তু এককালে তো তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে এই জেলায় পরিচালনা করেছেন। সেদিক থেকে তার অভিজ্ঞতা তো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাসকদলের কাছে। কেন তাকে জেলা কমিটিতে রাখা হল না? তাহলে কি বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিপ্লব মিত্রকে এখন শুধুমাত্রই পরীক্ষা করবে তৃণমূল কংগ্রেস? এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “সব স্তরের দক্ষ নেতাদের নিয়েই এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।” অন্যদিকে নতুন কমিটি প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর যুব তৃনমূলের সভাপতি অম্বরিশ সরকার বলেন, “নতুন কমিটি তারুণ্যে ভরপুর। সবার কাজের সুযোগ রয়েছে।” তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি থেকে শুরু করে যুব তৃনমূলের সভাপতি কেউই বিপ্লব মিত্রের কমিটিতে জায়গা পাওয়া না পাওয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তাহলে কি এককালে তৃণমূল করা বিপ্লব মিত্র মাঝখানে বিজেপিতে চলে গিয়ে আবার তৃণমূলে যোগদান করায় এখন তাকে শুধুমাত্র পরখ করে নিতে চাইছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব? একাংশ বলছেন, বিপ্লববাবুকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কিন্তু কবে সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। সব মিলিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এককালে তৃণমূলের সংগঠনকে তিল তিল করে সাজিয়ে তোলা বিপ্লব মিত্র ঠাঁই পেলেন না জেলা তৃণমূলের কমিটিতে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে। এখন বিপ্লব মিত্রের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!