এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জেলায় তৃণমূলের রদবদল কি প্রশান্ত কিশোরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত? কোথায় মমতা- অভিষেক? প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের অন্দরেই!

জেলায় তৃণমূলের রদবদল কি প্রশান্ত কিশোরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত? কোথায় মমতা- অভিষেক? প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের অন্দরেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে 22 টি আসন পাওয়ার পর এবং বিজেপির ব্যাপক উত্থান ঘটার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৃণমূলের রাজনৈতিক রনধীতিকার করা হয় প্রশান্ত কিশোরকে। প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই “দিদিকে বলো” কর্মসূচি থেকে শুরু করে “বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ধীরে ধীরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন জেলার সংগঠনের দায়িত্ব কারা সামলাবেন, তাদের নাম তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জমা দিয়ে তাদের ওপরেই জেলার দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন সেই প্রশান্ত কিশোর।

স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন জায়গায় নতুন নেতাকর্মীদের অর্থাৎ যাদের যাদের প্রশান্ত কিশোরের টিমের পক্ষ থেকে নাম তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে জমা পড়েছে, তাদেরকেই দায়িত্ব দেওয়ায় দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তাহলে কি দলে এখন সর্বেসর্বা প্রশান্ত কিশোর? কোথায় গেলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? কেন তাদের সিদ্ধান্ত না শুনে প্রশান্ত কিশোর নিজের মত করে সংগঠন সাজাতে শুরু করেছেন! জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের নতুন ব্লক কমিটি সামনে এসেছে। যেখানে নতুন ব্লক সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে। নতুন মুখ নিয়ে আসা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। ইতিমধ্যেই বীরভূম জেলা তৃণমূলের অন্দরে এই ব্যাপারে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

একাংশ বলছেন, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মতই কোন কোন ব্লকে কারা সভাপতি হবেন, তা ঠিক করা হয়েছে। এমনকি সেই তালিকা পৌঁছে গেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। তবে যে বীরভূম জেলায় অনুব্রত মণ্ডল শেষ কথা বলেন, সেখানেও দুই-একটি ব্লকে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, খয়রাশোল ব্লকে তৃণমূলের কোনো ব্লক সভাপতি নেই। প্রশান্ত কিশোরের নজড়ে খুব একটা ভালো জায়গায় নেই, দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র, সিউড়ি 1 ব্লকের সভাপতি স্বর্নশঙ্কর সিংহ, ময়ুরেশ্বর 1 ব্লকের সভাপতি অভিজিৎ রায় সহ অন্যান্যরা। স্বাভাবিকভাবেই এদের বদলে প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফে নতুন কোনো নাম ব্লক সভাপতি করবার জন্য রাজ্যের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। কিন্তু বীরভূম জেলায় যেখানে শেষ কথা বলেন অনুব্রত মণ্ডল, সেখানেও প্রশান্ত কিশোর নাক গলানোয় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলার বেশকিছু ব্লক সভাপতি বলেন, “দলের হয়ে দলের স্বার্থ কাজ করে চলেছি। আর এই নিয়ে কিছু ভাবতে চাই না।” এদিকে এই ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলেন, “একজনকে সরতে হচ্ছেই‌। বাকিদের কি হবে, সেটা সময় বলবে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলার নেতাদের উপরে উঠে যদি প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফ থেকে নতুন নেতা নির্বাচিত করে দেওয়া হয়, তাহলে তা অনেক জেলা নেতাদের অপছন্দ হতে পারে। এক্ষেত্রে তৃণমূলে বর্তমানে সেই সমস্যায় তৈরি হয়েছে।

প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফ থেকে যেভাবে নতুন ব্লক সভাপতি নিয়োগ করা হচ্ছে এবং তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে জেলা নেতাদের, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে কেন অন্য কেউ নাক গলাচ্ছে, তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করলেও, তাদের এই পদ্ধতি নিয়ে এবং প্রশান্ত কিশোরের দলে বাড়বাড়ন্ত নিয়ে অনেক তৃণমূল কর্মীরাই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। যা আগামীদিনে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত চাপের হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!