এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জেলার সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার লড়াই বাঁধিয়ে দিলেন শুভেন্দু! মমতাকে কোণঠাসা করার কৌশল!

জেলার সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার লড়াই বাঁধিয়ে দিলেন শুভেন্দু! মমতাকে কোণঠাসা করার কৌশল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের জার্সি খুলে গেরুয়া শিবিরের জার্সি ধারণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর বিজেপিতে যোগদান করার পর তিনি যে নিজের প্রাক্তন দল সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করবেন, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত ছিল রাজনৈতিক মহল। আর প্রত্যাশামতই বিজেপিতে যোগদানের পর প্রথম সভা থেকে জেলার আবেগের কথা তুলে ধরে দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটে থাকা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেল সেই শুভেন্দু অধিকারীকে। যেখানে ছোট ছোট জেলা তৈরি হলেও দক্ষিণ কলকাতার মধ্যে সমস্ত ক্ষমতা সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন শীর্ষনেতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এই মন্তব্য করে জেলার সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার লড়াই বাধিয়ে দিলেন। তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, এখন ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়ে রয়েছে শুধুমাত্র সেই কালীঘাটের এলাকাজুড়ে। এক্ষেত্রে একটি পরিবারে সব ক্ষমতা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর দক্ষিণ কলকাতার সঙ্গে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার লড়াই বাঁধিয়ে দিয়ে কার্যত বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। আর সেই কারণেই রাজ্যে পরিবর্তন যে জরুরি, তার পক্ষেও সওয়াল করতে দেখা যাচ্ছে তাকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগদানের পর কাথির সভা থেকে এই ব্যাপারে মুখ খুলতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, “ছোট ছোট জেলা তৈরি হয় কিন্তু কাথি তৈরি হয় না। ভাইপোর ডায়মন্ডহারবার বড় বড় মেডিকেল কলেজ পায়, নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প পায়। কিন্তু ছোট ছোট জেলাগুলো কিছু পায় না। সেগুলো চিরকাল বঞ্চিত থাকে।” আর শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা থেকেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, তিনি এবার জেলার সঙ্গে সেই দক্ষিণ কলকাতার লড়াই বাধিয়ে দিতে চাইলেন।

এক্ষেত্রে হাওড়ার কথা তুলে ধরে সেখানে “বাটখারা মন্ত্রী” দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। অর্থাৎ বিভিন্ন জেলাকে বঞ্চিত করে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এলাকাকে সমৃদ্ধ করছেন বলে নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী চাইছেন, বিভিন্ন জেলার তৃণমূল নেতাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই কারণেই কোনো জেলার উন্নতি হচ্ছে না। শুধুমাত্র একটি বা দুটি পরিবারের উন্নতি হচ্ছে বলে বিভিন্ন জেলার তৃণমূল নেতাদের দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। এক্ষেত্রে জেলার সেন্টিমেন্টের সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার তুলনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে আরও চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারই প্রাক্তন সৈনিক বলে মত বিশ্লেষকদের।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করার পরে এমনিতেই তৃণমূলের অন্দরমহলে ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জেলার তৃণমূল নেতাদের মধ্যে শোনা যাচ্ছে বেসুরো সুর। হাওড়া থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের অনেক জেলার নেতারা প্রকাশ্যে এমন কিছু মন্তব্য করতে শুরু করেছেন, যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। আর এই পরিস্থিতিতে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আরও বড়ভাবে বিড়ম্বনায় ফেলার জন্য দক্ষিণ কলকাতা তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যান্য জেলাগুলোর ভাঙ্গন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, তাতে তৃণমূল নেতৃত্বের অস্বস্তি দ্বিগুণভাবে বাড়ল বলেই দাবি করছেন পর্যবেক্ষকরা।

এক্ষেত্রে “ভাইপো” বলতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে তার সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ডহারবারে সব উন্নয়ন হলেও অন্যান্য এলাকায় অতটা উন্নয়ন হয় না বলেও অভিযোগ করতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের মুখে শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের মন্তব্য যে বঙ্গ রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ এবং এই মন্তব্য যে মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই গ্রহণ করবে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিরোধীরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, জেলার সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার লড়াই বাঁধিয়ে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে কতটা চাপে ফেলতে পারেন, তা ভোটবাক্স খোলার পরই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!