আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসককে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থানে জল ঢালতে সামনে এল তীব্রতর আন্দোলন উত্তরবঙ্গ রাজ্য January 10, 2019 আইনের রক্ষক হিসেবে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সেই আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে অভিযুক্ত এক যুবককে থানার ভেতরে ঢুকে মারার ঘটনায় ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। কিভাবে একজন জেলাশাসক নিজের হাতে আইন তুলে নেন এই প্রশ্নে যখন সকলে মিলে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে, ঠিক তখনই সেই জেলাশাসকের পক্ষে কথা বলতে দেখা গেল ডুয়ার্সের চা শ্রমিকদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফেসবুকে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মলের স্ত্রী নন্দিনী সম্পর্কে স্থানীয় যুবক বিনোদ সরকারের বিরুদ্ধে একটি অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। আর যে ঘটনায় সেই অভিযুক্তকে ফালাকাটা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও গত রবিবার সেই থানায় ঢুকেই নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে সেই অভিযুক্ত বিনোদ সরকারকে তীব্র মারধর করেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল এবং তাঁর স্ত্রী। আর এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। চাপে পড়ে সরকারের পক্ষ থেকেও 10 দিনের ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেই আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসককে। এমনকি জেলাশাসক পদ থেকে এই নিখিল নির্মলকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিও পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে যখন সকলেই সেই আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মলের ভূমিকায় সরব হয়েছেন ঠিক তখনই কিছুটা ব্যতিক্রমী ভূমিকায় দেখা গেল ডুয়ার্সের চা বাগানের শ্রমিকদের। সূত্রের খবর, বুধবার আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় 50 জন চা বাগান কর্মী বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি, কোনো মতেই জেলাশাসক নিখিল নির্মলকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সবাই নিখিল নির্মলের আইন হাতে তুলে নেওয়ার ভিডিও দেখে যখন তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, ঠিক সেখানে কেন সেই আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের পক্ষে যাচ্ছেন ডুয়ার্সের চা বাগানের শ্রমিকরা? এদিন এর কারণ হিসেবে বিক্ষোভকারীদের একাংশ বলেন, “স্ত্রী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করলে কারোরই মাথা ঠিক থাকে না। জেলাশাসকের জায়গায় যদি অন্য কেউ থাকতেন তাহলে তিনিও একই কাজ করতেন। আমাদের জেলাশাসক চা শ্রমিকদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। তাই তাঁকে এইভাবে সরানো বা অন্যত্র বদলি করা যাবে না।” সব মিলিয়ে এবার স্ত্রীর পর আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল পাশে পেলেন ডুয়ার্সের চা বাগানের শ্রমিকদের। আপনার মতামত জানান -