এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জেলে বসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নাম করে হুমকি ও অর্থ লোপাট তোলাবাজের, হতবাক পুলিশ

জেলে বসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নাম করে হুমকি ও অর্থ লোপাট তোলাবাজের, হতবাক পুলিশ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় দু বছর ধরে তিহার জেলে রয়েছেন শিবিন্দর সিং ও তার ভাই মালবিন্দর সিং। তাদের একটি বড়সড় ওষুধ কোম্পানি রয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার শিবিন্দর সিংয়ের জামিন পাইয়া দেবার নাম করে তার স্ত্রীর কাছ থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নিল সুকেশ চন্দ্রশেখর এক নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে, কখনো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, কখনো বা আইনমন্ত্রকের নাম নিয়ে ফোন করে ও বিভিন্ন মন্ত্রীদের নাম নিয়ে ফোন করে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে এই চন্দ্রশেখর।

এ প্রসঙ্গে শিবিন্দর সিং এর স্ত্রী অদিতি সিং জানিয়েছেন যে, নানাভাবে তাকে ফোন করে ভয় দেখানো হতো। হুমকি দেয়া হতো। তাই, তাঁর কাছে থাকা টাকা, গয়না ও সম্পত্তি মিলিয়ে ২০০ কোটি টাকা তাদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন তিনি। তাঁর সন্তানরা বিদেশে থাকেন। তাঁর স্বামী রয়েছেন জেলে। তাদের নাম করে ভয় দেখানো হতো। আবার, তার স্বামীকে জামিন পাইয়া দেবার নাম করেও টাকা চাওয়া হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, একসময় তিনি বুঝতে পারেন যে, তাকে যারা যারা ফোন করেছিল, তাদের প্রত্যেকের কথায় দক্ষিণ ভারতের টান ছিল। এর পরেই সন্দেহ হয় তাঁর। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। পুলিশের চেষ্টায় বিষয়টি সামনে আসে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অদিতি সিংকে প্রতারণা করে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল চন্দ্রশেখর আর তার সঙ্গী এক অভিনেত্রী। চেন্নাইতে সমুদ্রের ধারে একটি বিলাসবহুল বাংলো কেনা হয়েছিল এই টাকায়। এছাড়া প্রচুর মূল্যবান গাড়ি, আন্তর্জাতিক ব্যান্ডের ঘড়ি, দামি পোশাক পাওয়া গেছে এই বাংলোয়।

তবে, শুধু শিবিন্দর সিং এর স্ত্রী অদিতি সিং ই নন, একের পর এক ব্যক্তিকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে। কখনো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, কখনো বা আইন মন্ত্রকের নাম করে, কখনও বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নাম করেও চলতো প্রতারণা। জেলে বসেই কিভাবে এতদিন ধরে সে এই কারবার নিয়েছে? তা নিয়ে ভেবে হতবাক পুলিশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!