এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > জেলের মধ্যে থেকেই তোলাবাজি চালাত কুখ্যাত দুষ্কৃতি, খবর পেয়ে পুলিশি তৎপরতা

জেলের মধ্যে থেকেই তোলাবাজি চালাত কুখ্যাত দুষ্কৃতি, খবর পেয়ে পুলিশি তৎপরতা


বেশ কিছুদিন আগে রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা এলাকার জগতপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ওই এলাকার তৃণমূলের এক যুবনেতা সঞ্জয় রায় খুন হন। তবে নিহত ওই যুব নেতার বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ ওঠে। তবে পুলিশ তদন্তে নেমে রাজনৈতিক আক্রোশের পাশাপাশি ব্যক্তিগত আক্রোশের দিকটিও তদন্ত করে দেখা শুরু করে। তদন্ত শুরু করতেই পুলিশের হাতে একের পর এক তথ্য আসতে শুরু করে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই সঞ্জয় রায় খুনের হত্যায় নাম উঠে আসে কুখ্যাত দুষ্কৃতী বাপি রমনের। বাপি রমনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। তবে এদিন পুলিশের হাতে ধরা পড়ল বাপি রমনের ভাই বাপ্পা রমন।

সম্প্রতি আগ্নেয়াস্ত্রসহ কুখ্যাত দুষ্কৃতী বাপ্পা রমনকে গ্রেফতার করল নিউ টাউন থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অস্ত্রসহ বাপ্পা রমনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল, আসামি বাপি রমন জেলে বসেই তাঁর ভাই বাপ্পাকে দিয়ে এলাকায় তোলাবাজি সহ অন্যান্য অপরাধমূলক কাজকর্ম চালাতো। বাপ্পাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ তার কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। আজ তাঁকে বারাসাত কোর্টে তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল গভীর রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে ঘূণির দিক থেকে এক যুবক যাত্রাগাছি খালপাড় দিয়ে যাচ্ছে, যার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশ এই খবর পেয়ে তড়িঘড়ি যাত্রাগাছি খালপাড়ে উপস্থিত হয়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে অপরাধী পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ অপরাধীর পেছনে দৌড়ে তাঁকে ধরে ফেলে। পরবর্তীতে থানায় এনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সে এলাকায় কোন নির্দিষ্ট অপরাধ করার জন্য এসেছিল। আর এই জিজ্ঞাসাবাদ সূত্রেই পুলিশ আরো জানতে পারে, যে বাপ্পা রমন খুনের অভিযোগে জেলবন্দি হয়ে রয়েছে সে জেলের মধ্যে থেকেই তাঁর ভাই বাপ্পা রমনকে দিয়ে এলাকায় তোলাবাজি চালাচ্ছে। পুলিশ খবর পেয়ে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বাপ্পা রমনকে গ্রেপ্তার করে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বাকি 5 জনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

তবে এই ঘটনা সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে যথেষ্ট সমালোচনা। উঠেছে পুলিশের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পুলিশের নাকের ডগায় বসে জেলের মধ্যে থেকে একজন খুনের আসামি কিভাবে বাইরের জগতে তোলাবাজি চালিয়ে গেল এতদিন ধরে? পুলিশ কিছুই টের পেল না কেন? উপরন্তু দাবি করা হচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত এই তোলাবাজি চলছে। এবং স্থানীয় মানুষদের দাবি, রাজনৈতিক বদান্যতায় এলাকার দুষ্কৃতীরা পুলিশের অধরা রয়ে যাচ্ছে। আপাতত বাপ্পা রমনকে গ্রেফতার করার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে চলেছে সেদিকে লক্ষ্য রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!