এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জেতা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, বিজেপি কি এবার চাপে? মরিয়া লড়াই তৃণমূল-বিজেপির

জেতা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, বিজেপি কি এবার চাপে? মরিয়া লড়াই তৃণমূল-বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট হাতে আর বিন্দুমাত্র সময় নেই। দুদিন পরেই হতে চলেছে রাজ্যের চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। যে কেন্দ্রগুলিতে এবার উপনির্বাচন হবে সেগুলি হল খড়দা, দিনহাটা, গোসাবা এবং শান্তিপুর। এই চারটি কেন্দ্রের মধ্যে শান্তিপুর এবং দিনহাটাতে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করেছিল। কিন্তু সেখানকার 2 বিধায়ক, যথা-  নিশীথ প্রামানিক এবং জগন্নাথ সরকার নিজেদের সাংসদ পদ ধরে রাখার জন্য বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। যথারীতি এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়ে। তবে তৃণমূলের চিন্তা শান্তিপুর কেন্দ্রকে নিয়ে। কারণ 213 টি আসনে জিতে ক্ষমতায় এলেও শান্তিপুর কিন্তু তৃণমূলের কাছে অধরা রয়ে গিয়েছে।

তাই আবার তৃণমূল সুযোগ পেয়েছে উপনির্বাচনে জিতে সেই অপ্রাপ্তি দূর করার। কার্যত এবার সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া তৃণমূল। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শান্তিপুরে জেতার পরেও বিজেপি প্রার্থীর বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়া কার্যত সেখানকার মানুষ ঠিকভাবে নিয়েছেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অন্যদিকে শান্তিপুরে এবার তৃণমূল নেতাদের মুখে উঠে এসেছে ডাবল ইঞ্জিন স্লোগান। তাঁদের মতে, যদি বিরোধীরা জেতে তাহলে এলাকার কাজকর্ম কিংবা সুবিধা অসুবিধা যেকোন কিছু নিয়ে টালবাহানা হবে। কিন্তু যদি শাসক দল জেতে তাহলে সরকারি সমস্ত পরিকল্পনা ঠিকমতো রূপায়িত হবে।

অন্যদিকে শান্তিপুর কেন্দ্রে নজর দিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে ব্রজকিশোর গোস্বামীকে এবার প্রার্থী করা হয়েছে। জেলায় দলের প্রায় সমস্ত জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে গোটা কেন্দ্রে চষে বেড়াচ্ছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কার্যত শান্তিপুর আসনটি নিয়ে দলের প্রত্যাশা ভালোমতো বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রচারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে হোক, কিংবা 2019 এর লোকসভা এবং 2021 এর বিধানসভা কোনটিতেই জয় পায়নি এই আসনে তৃণমূল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বরং জয় গিয়েছে বিরোধীদের ঝুলিতে। অন্যদিকে দলের সাংসদদের বিধানসভার প্রার্থী করে জেতার পরেও তাঁর পদত্যাগ নিয়ে প্রচারেও প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বিজেপির নেতারা। শান্তিপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং সাংগঠনিক দুর্বলতা যে বিজেপি নেতাদের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মুহুর্তে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং এই কেন্দ্রটি নিয়ে তৃণমূলের পাশাপাশি কিন্তু বিজেপিরও যথেষ্ট চিন্তা রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ বিজেপির ভোট কাটতেই এবার তৃণমূল সিপিএম হাত মিলিয়েছে শান্তিপুরে।

অন্যদিকে শান্তিপুরের উপনির্বাচনে তৃণমূল বিরোধী ভোট ভাগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সিপিএম মাথা তুলে দাঁড়ানোয়। এলাকার সিপিএম পার্টি অফিসের দেওয়ালে লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির পরামর্শ দিয়ে নোটিশ দেখা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে শান্তিপুরে যে এবার বিজেপি বড়োসড়ো চাপের মুখে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ছয় মাস আগে বিজেপি যে শান্তিপুরের জয় ছিনিয়ে এনেছিল, এবার কিন্তু সেই জয় যথেষ্ট চাপের মুখে। পরিস্থিতি কোন দিকে যেতে চলেছে এখন সেদিকেই সবার নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!