এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > ঝাড়গ্রাম নিয়ে কি আশা ছাড়ছে তৃণমূল? রাজ্য-জেলা নেতৃত্বের প্রচার না করা নিয়ে জল্পনা তীব্র!

ঝাড়গ্রাম নিয়ে কি আশা ছাড়ছে তৃণমূল? রাজ্য-জেলা নেতৃত্বের প্রচার না করা নিয়ে জল্পনা তীব্র!

রাজ্যের 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি আসনই তাদের দখলে রাখতে হবে বলে ইতিমধ্যেই প্রায় প্রতিটা লোকসভা কেন্দ্র দখলের জন্য দলীয় নেতৃত্বকে টার্গেট বেঁধে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেইমতো বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্র এবং বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিভিন্ন বিধানসভায় গিয়ে জেলা এবং রাজ্য স্তরের নেতারা জোর প্রচার চালাতে শুরু করেছেন।

কিন্তু এই ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা গেল ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান বিধানসভা এলাকাকে। তৃণমূলের একাংশের দাবি, জেলা তৃণমূলের নেতারা সারা পুরুলিয়া জেলা চষে বাড়ালেও এখনও পর্যন্ত বান্দোয়ানে কেউ প্রচার করতে আসেননি।

জানা গেছে, পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় জোর প্রচার শুরু করেছেন। এমনকি পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতিকেও বিভিন্ন জায়গায় প্রচার যেতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তাদের কেউই বান্দোয়ান এলাকাতে এখনও পর্যন্ত প্রচারে আসেননি। এমনকি রাজ্য স্তরের কোনো নেতাও এখানে প্রচার করতে আসেনি বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের।

ফলে রাজ্য, জেলা – কোনো নেতাদের না পেয়ে আদিবাসী অধ্যুষিত বান্দোয়ানে শাসক দলের স্থানীয় নেতারা দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করতে শুরু করেছেন। কখনও কর্মী বৈঠক, আবার কখনও বা বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনসমর্থন আদায় করতে তৎপর হয়েছেন তারা।

আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে রাজ্যের সমস্ত লোকসভা কেন্দ্র দখলে যখন দলীয় নেতৃত্বকে টার্গেট বেঁধে দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী এবং প্রায় সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বিধানসভাগুলোতে গিয়ে ঝড় তুলছেন তৃণমূলের সুপারস্টার নেতা-নেত্রীরা, সেখানে রাজ্য নেতৃত্ব তো দূর অস্ত, জেলা নেতারাই কেন প্রচারে দেখা যাচ্ছে না এই পুরুলিয়া লোকসভার অন্তর্গত বান্দোয়ান বিধানসভায়? তবে কি মুখ্যমন্ত্রী এর আশা ছেড়ে দিলেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে বান্দোয়ানের তৃনমূল বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন বলেন, “জেলা নেতৃত্বরা এখনও পর্যন্ত বান্দোয়ানে প্রচারে আসেননি একথা ঠিক, তবে এতে বান্দোয়ানকে ব্রাত্য করে রাখার মতো কোনো বিষয় নেই। এই এলাকায় তৃণমূলের বুথভিত্তিক সংগঠন মজবুত রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দিন-রাত এক করে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। প্রার্থীও একদিন প্রচারে এসেছিলেন। আমরা কর্মীসভায় জোর দিচ্ছি।”

একইভাবে জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে কিছুটা হলেও কর্মীসমর্থকরা উৎসাহ পায়। তবে এতে প্রচারের কোনো খামতি হচ্ছে না বলেই জানান বান্দোয়ানের যুব তৃনমূলের সভাপতি জগদীশ মাহাতো। কিন্তু কেন তারা প্রচারে সময় দিচ্ছেন না বান্দোয়ানকে? এদিন এই প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “আগামী 25 তারিখ আমি নিজে ওখানকার মিছিলে উপস্থিত থাকব। জেলা থেকেই সমস্ত প্রচারের কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শাসকদলের জেলা নেতৃত্বরা এই বান্দোয়ান বিধানসভায় ঠিকমতো প্রচারে না গেলেও এখানে ইতিমধ্যেই নিজেদের প্রচার সেরে নিয়েছে বিজেপি এবং বামেরা। এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমরম বলেন, “বান্দোয়ানে আমি একবার কর্মী বৈঠক করেছি। স্থানীয় নেতারা প্রচারের কাজ দেখছেন। প্রচারের তালিকা তৈরি হলে ফের প্রচারে যাব।” তবে ইতিমধ্যেই দু’বার তিনি বান্দোয়ানে গেছেন। আবারও তিনি ওই এলাকায় প্রচারে যাবেন বলে জানিয়েছেন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রম।

তবে বিরোধীরা ঝাড়গ্রাম লোকসভা সর্বত্র প্রচার চালালেও 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি আসনেই ঘাসফুল ফোটানোর টার্গেট দেওয়া তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেলেও বান্দোয়ান বিধানসভায় কেন এখনও পর্যন্ত তৃনমূলের শীর্ষ নেতা নেত্রীদের দেখা গেল না তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে এখন একটাই রব শোনা যেতে শুরু করেছে, তাহলে কি ঝাড়গ্রামে ঘাসফুল ফোটার আশা ক্ষীণ হতে শুরু করেছে শাসকদলের অন্দরমহলে! আর তাই এখানে আর জোর দিতে রাজি নয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!