এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঝাড়খন্ডে বিজেপির ভরাডুবির “আসল কারণ”বেরিয়ে এলো ! জানলে চমকে যাবেন!

ঝাড়খন্ডে বিজেপির ভরাডুবির “আসল কারণ”বেরিয়ে এলো ! জানলে চমকে যাবেন!


বরাবরই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও নিজের গোটা রাজ্যবাসীর কাছে একটি পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে। রাজ্য এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তার মন্তব্য যথেষ্ট আগ্রহের সঙ্গে শোনে আমজনতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আর এবার ঝাড়খন্ডে বিজেপির ভরাডুবির আসল কারন বলতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের খ্যাতনামা বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টকে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রতবাবু ঝাড়খণ্ডের বিজেপির হারের প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপি গো-হারা হেরে গিয়েছে। মানুষ পাঁচ বছর তাদের দেখেছে। বছরে এক কোটি করে চাকরি, কোথায় হয়নি! ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী মানুষ কি বোকা!” পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে যারা কটুক্তি করবে, তারা পিছিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে অনুব্রতবাবুকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিক আইন এবং এনআরসির প্রতিবাদে সোমবার বীরভূম জেলা জুড়ে মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে জনজোয়ার দেখতে পাওয়া যায়। এদিন সংশোধিত নাগরিক আইনের প্রতিবাদ করে সিউড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলে হাঁটেন হাজার হাজার মানুষ। আর সেই মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বিকেল তিনটের সময় মসজিদ মোড়ে এই মিছিল শেষ হয়। যে মিছিল কে নেতৃত্ব দিতে এবং জনগণকে অভিবাদন করতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে।

অনুব্রত বাবু ছাড়াও জেলার হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই মিছিলে তাদের মধ্যে জেলা পরিষদ সদস্য থেকে শুরু করে সহকারি সভাধিপতি নন্দেশ্বর মণ্ডল, সিউড়ি মহকুমার প্রত্যেক বিধানসভার বিধায়ক এবং ব্লক নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। এই মিছিলে পরিলক্ষিত হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে সেজে ওঠা একটি শোভাযাত্রা। তবে অনুব্রতবাবু কিন্তু খোলা জিপে করে মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মিছিল শেষ হয় মসজিদ মোড় এলাকায়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমাতেই নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করতে দেখা যায় অনুব্রতবাবুকে। তিনি বলেন, “মোদি তুমি যতই অন্যায় ভাবে আইন নিয়ে এসো। বাংলার মানুষ তা মানবে না। পশ্চিমবাংলার মানুষ মরতে জানে লড়াই করতে জানে। তারা মাথা নত করবে না। তাই এখানকার মানুষকে বোকা ভাবলে ভুল করবে। জীবন দেব, তবু এনআরসি এবং সংশোধিত নাগরিক আইন মেনে নেব না। হিন্দু-মুসলিম বাংলা একসঙ্গে থাকবে। যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছে, ততদিন কোনো চিন্তা নেই।”

পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে অনুব্রতবাবু সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “ঝাড়খন্ডে বিজেপি গো-হারা হেরে গিয়েছে। বিজেপি গো-হারা হেরে গিয়েছে। মানুষ পাঁচ বছর তাদেরকে দেখেছে। বছরে এক কোটি করে চাকরি কোথায় হয়েছে! ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী মানুষ কি বোকা! তারা কেন এই সরকারকে রাখবে! মানুষ চায় উন্নয়ন।” পাশাপাশি তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ঝাড়খণ্ডের নবনিযুক্ত জোট সরকার কোনো রকম অন্যায় করবেন না।

এদিন জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে যে কটূক্তি করবে, সেই হেরে যাবে। তেমনি ঝাড়খণ্ডের যে মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কটুক্তি করেছিল, সেই মন্ত্রী হেরে গিয়েছেন। কেউ ভোট দেবেন না তাদের। মমতা সত্যের প্রতীক। তিনি অন্যায় করতে জানেন না। তিনি মানুষের কথা চিন্তা করেন।”

এদিনের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ করে অনুব্রত বাবু বলেন, “তারা কি ভারতবর্ষটাকে জমিদারি পেয়েছে! যা মন চায়, আইন করছে। মানুষ কি এত বোকা!” তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বরাবরই নিজের বক্তব্যের জন্য প্রসিদ্ধ অনুব্রত মণ্ডল। বিভিন্ন বিষয়ে তাকে বিভিন্ন রকমের বক্তব্য রাখতে শোনা গেছে অনুব্রতবাবুকে। তার বেশ কিছু বক্তব্য রীতিমতো সমালোচনার ঝড় তুলেছে রাজনৈতিক এবং সামাজিক জনমানসের মধ্যে। তবে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমা থেকে এক চুলও নড়েননি অনুব্রত মণ্ডল। তবে ঝাড়খন্ড নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির হার নিয়ে অনুব্রতবাবুর মন্তব্য কিছুটা হলেও গুরুত্ব রাখে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!