ঝাড়খণ্ডের শপথগ্রহণে বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে এক করার চেষ্টা মমতার, সাফল্য মিলবে! জল্পনা তুঙ্গে কলকাতা জাতীয় রাজ্য December 27, 2019 লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এক করার চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে একত্রিত করে দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপি যাতে কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল না করতে পারে, তার জন্য জোর প্রচার করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রচার কাজে দেয়নি। উল্টে দ্বিতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় বসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এবার ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে সরব হয়ে, নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই কলকাতার রাজপথে একাধিক মিছিল করেছেন তিনি। আর লোকসভায় বিজেপির সাফল্য পাওয়ার 6 মাস পরেই একের পর এক রাজ্যে তারা পর্যুদস্ত হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খন্ডে ক্ষমতা হারিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের বিরোধী জোট ক্ষমতায় আসায় সেখানকার শপথ গ্রহণে আমন্ত্রিত হয়েছেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা বাহুল্য, বর্তমানে নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বিজেপি বিরোধিতায় এই ইস্যুতে আরো ভালো করে প্রচার করতে এবং সকল বিরোধী দলগুলোকে এক সুতোয় বাঁধতে মরিয়া চেষ্টা চালাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই ঝাড়খণ্ডে বিজেপি বিরোধী সরকারের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিজেপি বিরোধীতার সুর চড়া করতে চাইছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডের এই বিরোধী জোট সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। জানা গেছে, সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাহুল গান্ধী এবং চারজন মুখ্যমন্ত্রী। আর এহেন গুরুত্বপূর্ণ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে ফাঁকি দিতে চান না তৃণমূল নেত্রী। কারণ তিনি ভালই জানেন যে, বিজেপিকে সরাতে হলে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালাতে হবে। আর তাইতো হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে বেছে নিয়ে সেখানেই অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এনআরসি ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সরব হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপি বিরোধী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা-নেত্রীরা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। সব মিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই রাজি হয়ে উঠবে অবিজেপি দলগুলোর মিলনক্ষেত্র।” তবে এখন দেখার বিষয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী দলের এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে বিজেপির বিরোধিতায় একত্রিত করতে পারেন কিনা! যার দিকে নজর রয়েছে সকল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -