এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ঝাড়খন্ডে কার হাতে থাকবে ব্যাটন, জেনে নিন আগাম সমীক্ষা

ঝাড়খন্ডে কার হাতে থাকবে ব্যাটন, জেনে নিন আগাম সমীক্ষা


 

2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর ভারতীয় জনতা পার্টির 2019 সালের এই ফলাফল সর্বকালের সেরা পারফর্ম্যান্স। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য জয়যুক্ত হয়ে মোদি 0.2 সরকার গঠন হলেও, সমগ্র দেশে লোকসভা পরবর্তী সবকটি নির্বাচনে ব্যাপক পরিমাণে হতাশ হতে হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির পক্ষে তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।

সম্প্রতি মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভা ভোটে বিভিন্ন সমীক্ষককারী সংস্থার এক্সিট পোল অনুযায়ী এগিয়ে ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি, সেই মোতাবেক হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র দুই জায়গাতেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু নির্বাচনের ফল সামনে আসতে শুরু করলেই ভারতীয় জনতা পার্টির সব আশা ভঙ্গ হয়ে যায়।

হরিয়ানাতে জোট করে সরকার গঠন করতে সক্ষম হলেও, মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় এবং সহযোগী শিবসেনার সঙ্গে মতবিরোধের জেরে বিরোধী আসনে বসতে হয় ভারতীয় জনতা পার্টিকে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটে এগিয়ে থাকা বেশ কয়েকটি বিধানসভা উপনির্বাচনে কার্যত ক্লিন বোল্ড হয়ে যায় পদ্মফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকের উপনির্বাচনে লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী যাবৎ কালের সবকটি নির্বাচনে ধরাশায়ী হতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। বিজেপির কাছে যা অত্যন্ত হতাশার বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে। এরমধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচন। আর এই ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে সব রকম রি- পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। যাতে করে রাম মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে সব রকম বাধা দূরীভূত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি সভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আবার এই নির্বাচনের সময়ই পাস হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল। যা নিয়ে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে আলোড়ন।

এর আগেও ধারা 370 অবলুপ্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা বিজেপির দিক থেকে অত্যন্ত বড় সাফল্য হিসেবে ধরা হয়। এই সব কিছুর মধ্যে কার্যত পরীক্ষামূলক ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায় যে ছবি সামনে আসছে, তা কিন্তু হাসি ফোটাতে পারছে না জনতা পার্টির মুখে। বস্তুত, ঝাড়খন্ড বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা 81 টি। তার মধ্যে 57 টি আসনে জিতে কতবার ক্ষমতায় এসেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

কংগ্রেস জোট পেয়েছিল 18 টি আসন। অবশ্য এক্ষেত্রে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে জোটসঙ্গী হিসেবে ছিল এজেএসইউ। তারাও পেয়েছিল 6 টি আসন। কিন্তু এবার যে সমীক্ষা সামনে আসছে তাতে করে টাইমস নাও সমীক্ষক সংস্থা মনে করছে, ভারতীয় জনতা পার্টি পেতে পারে 28 টি আসন। কংগ্রেস জোট পেতে পারে 44 টি আসন। যা ইতিমধ্যেই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বের কপালে।

এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস- জেএমএম, আরজেডি মহাজোট গঠন করে নির্বাচনে লড়াই করেছিল। অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টির জোটসঙ্গী এজেএসইউ এবার বিজেপি সঙ্গে এককভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপির সঙ্গী একটিও আসন পাচ্ছে না। অন্যদিকে জেএমএম তিনটি আসন পেতে পারে। অন্যান্যরা পেতে পারে 6 টি আসন বলে মনে করা হচ্ছে।

সমীক্ষা অনুযায়ী, এক্ষেত্রে ভারতীয় জনতা পার্টি যদি 28 টি আসন পায়, তবে ম্যাজিক ফিগার থেকে সেই আসন অনেক কম হবে। বস্তুত, ঝাড়খন্ড বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার পেতে গেলে 144 টি আসন লাভ করতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। অন্যদিকে যেহেতু সমীক্ষা অনুযায়ী কংগ্রেস জোট 44 টি আসন পাচ্ছে। সেহেতু মনে করা হচ্ছে, এবছর ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করতে পারে কংগ্রেস জোট।

সব কিছু মিলিয়ে এখন নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। তবে সমীক্ষা যাই বলুক না কেন, ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে যদি ভারতীয় জনতা পার্টি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে তারা যেমন নতুন অ্যাডভান্টেজ পাবে, তেমনই যদি ভারতীয় জনতা পার্টির পরাজয় ঘটে, তাহলে কিন্তু রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে পারে গেরুয়া শিবির বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!