এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ‘জীবাণুনাশক’ স্যানিটিজাইজার পরোক্ষে ‘প্রাণনাশক’! গবেষণাপত্রে আশঙ্কা প্রকাশ বিজ্ঞানীদের

‘জীবাণুনাশক’ স্যানিটিজাইজার পরোক্ষে ‘প্রাণনাশক’! গবেষণাপত্রে আশঙ্কা প্রকাশ বিজ্ঞানীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হোটেল, রেস্তোরাঁ বা বাড়ির বাইরে অন্য কোনও স্থানে উপস্থিত হলে সেখানেও করা হচ্ছে স্যানিটাইজ। একটি বিশেষ দ্রবণ ছিটিয়ে দেওয়া হয় সাধারণের সারা দেহে। এই দ্রবণ ব্যবহার করে না হয় জীবাণু নাশ করা হচ্ছে। কিন্তু অত্যধিক ব্যবহারে আখেরে আমার আমাদের দেহেরই ক্ষতি করে ফেলছি না তো! সম্প্রতি এক গবেষণা পত্রে এই আশঙ্কার কথাই তুলে ধরেছেন এক দল বিজ্ঞানী।

সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দ্রবণ ব্যবহার করলে তা মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের তো বটেই, বায়ুমণ্ডল-সহ পরিবেশেরও ক্ষতি করতে পারে। এই বিষয়ে ‘এরোসল অ্যান্ড এয়ার কোয়ালিটি রিসার্চ’ নামে একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এই দ্রবণ স্প্রে করলে তা যেমন মানব দেহে ছড়িয়ে পড়ছে, তেমনই তা মিশে যাচ্ছে বাতাসে।

ফলত বাতাসে অত্যধিক পরিমাণে যুক্ত হচ্ছে এরোসলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ক্ষতি হতে পারে ওজোন স্তরের। অভিজিৎবাবুর গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দ্রবণ থেকে রাসায়নিক ভাবে অতিসক্রিয় ক্লোরিন (ক্লোরিন র‌্যাডিক্যাল) তৈরি করে। সেই ক্লোরিন বাতাসের হাইড্রোকার্বনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ভাসমান কণা তৈরি করে, যা পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের পরিবেশবিজ্ঞানী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “রোদে এই দ্রবণ ছিটোলে তা বেশি ক্ষতি করে। সূর্যের তাপে দ্রবণ দ্রুত ভেঙে গিয়ে ক্ষতিকর রাসায়নিক উৎপন্ন করে।” এই রাসয়নিকের নেতিবাচক দিক সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিকল্প পথ খোঁজার প্রয়াস। কারণ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দ্রবণ আমাদের দেহের একাধিক অংশে ডেকে আনতে পারে অকাল রোগ। কিডনি, ত্বক ও রক্তনালির ক্ষতি করতে পারে এই রাসায়নিক।

এর পাশাপাশি ক্লোরিন গ্যাস শরীরে ঢুকে রক্তনালি, শ্বাসনালি, মূত্রনালি, কিডনির পঅসুখ বাধিয়ে দিতে পারে। তাঁর পরামর্শ, মানবশরীরে তো বটেই, যে-কোনও জায়গাতেই এই দ্রবণ ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। পরিবেশবিদদের অনেকে বলছেন, জলের পরিমাণের তুলনায় এক শতাংশ হারে এই রাসায়নিক মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এই পরিমাণটা মাপবেন কে? বৃহৎ পরিসরে এই মাপন প্রক্রিয়া কীভাবে সম্ভব সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন বিজ্ঞানীরা। অভিজিৎবাবুর প্রশ্ন, ‘কত পরিমাণ জলে কত পরিমাণে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট মেশানো হচ্ছে, সেটা দেখার লোক কোথায়?’ বস্তুত বিশেষ নজরদারিতে এই রাসায়নিক বা স্প্রে ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!