জেলা সভাপতি বনাম বিধায়কের তরজা চরমে, চিঠি গেল শুভেন্দুর কাছে, পৌরসভার আগে বাড়ছে জটিলতা! উত্তরবঙ্গ রাজ্য March 16, 2020 বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে সকলকে একসাথে কাজ করার কথা বলে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও অনৈক্য প্রকাশ্যে চলে এল। এবার উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে সরব হয়ে জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি দিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। যা নিয়ে এখন উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক গুঞ্জন। প্রসঙ্গত, এই কানাইয়ালাল আগরওয়াল বনাম আব্দুল করিম চৌধুরীর বিবাদ নতুন কিছু নয়। প্রায়শই বিভিন্ন ইস্যুতে দুই নেতাকে একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে। তবে এবার সামনের পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়াকে কেন্দ্র করেই দুই নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসল বলে মনে করছেন একাংশ। বলাই বাহুল্য, ইসলামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান রয়েছেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তাই এবার পৌরসভা নির্বাচনে যাতে টিকিট দেওয়ার দায়িত্ব তার কাধে থাকে, তার জন্য আগেভাগেই শুভেন্দু অধিকারীর কাছে কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে চিঠি লিখে অনুযোগ জানালেন আব্দুল করিম চৌধুরী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন তিনি বলেন, “সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। কিন্তু দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আমার সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো আলোচনা করছেন না। ফলে আমি বিষয়টি দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি লিখে জানিয়েছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ইসলামপুর পৌরসভার 50% আসনে প্রার্থী দেব এবং বাকি আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য কানাইয়ালালকে দায়িত্ব ছাড়া হবে। এই বিষয়টি আমি চিঠিতে জানিয়েছি। আমার সঙ্গে শুভেন্দুবাবুর একটু দূরত্ব হয়ে গিয়েছিল। আমাদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। কালিয়াগঞ্জে সভার দিন তা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিয়েছি।” এদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, “প্রার্থী ঠিক করবে দল। গত নির্বাচনে তিনি 17 টি আসনে প্রার্থী বাছাই করেছিলেন। কেউ দাবি জানাতেই পারে। কিন্তু দলই আসল সিদ্ধান্ত নেবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কানাইয়ালাল আগরওয়াল নিজের মন মত প্রার্থী না পান, তাহলে পৌরসভা নির্বাচনের আগে এখানে জেলা সভাপতির সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চরম আকার নিতে পারে। যার ফলস্বরুপ তৃণমূলের ফলাফল খুব একটা ভালো নাও হতে পারে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -