জল্পনা-কল্পনা সরিয়ে প্রভাবশালী নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে! নতুন করে উত্তাল অনুব্রত-গড় তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য December 3, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের শাসক দলের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন। দক্ষিণবঙ্গের হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবেন না। স্বাভাবিকভাবেই দলে ভাঙনের একটা বিরাট বড় আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন আদিবাসী নেতা সুনীল সোরেন। প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য আদিবাসী গাঁওতার দুই নেতা রবীন এবং সুনীল সোরেনের সম্পর্ক অনেক দিন হল তলানিতে ঠেকতে শুরু করেছে। প্রায় দুই মাস আগে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিওতে এই সুনীল সোরেনকে বলতে দেখা গিয়েছিল, “আমি বিজেপির দিকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। আগামী দিনে আমাকে বিজেপিতে দেখলে যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয়। তার জন্য সকলের সামনে কথাটা বললাম।” আর এরপরই সেই সুনীলবাবুকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে দেখা যায়। জানা গেছে, বর্তমানে বিজেপি যুব মোর্চার রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক পদে বসানো হয়েছে সুনীল সোরেনকে। আর তারপর থেকেই অরাজনৈতিক আদিবাসী সংগঠনের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি হতে শুরু করেছে তার। এদিকে সুনীল সোরেনের নতুন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই গাওতার অফিস থেকে তার সমস্ত জিনিসপত্র বের করে দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই গাওতার অফিসকে রাজনৈতিক দলের দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আদিবাসী সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা। যদিও বা এর পেছনে রবীন সোরেনের ইন্ধন দেখতে শুরু করেছেন সেই সুনীল সোরেন। এদিন এই প্রসঙ্গে সুনীলবাবু বলেন, “আমি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতেই পারি। কিন্তু গাওতাকে তার জন্য ব্যবহার করিনি। আসলে গাওতার অফিস দখল করাই মূল উদ্দেশ্য। তাই পেছন থেকে ইন্ধন দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও বা সুনীলবাবুর এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন রবীন সোরেন। এদিন তিনি বলেন, “যতদিন তিনি গাওতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঠিক ছিল। কিন্তু বর্তমানে তিনি ও তার এক সঙ্গী অফিসটিতে বিজেপির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। গাঁওতা অফিসকে এভাবে কাজে লাগানোকে ঘিরে সংগঠনের সদস্যরা আপত্তি তুলেছেন। বহুবার অফিস থেকে সরে যাওয়ার কথা বললেও সুনীলবাবু সরেননি। এবার সুনীল সোরেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে সদস্যরাই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছেন।” অর্থাৎ রবীনবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, সুনীলবাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি এই অফিস থেকে দলীয় কাজে ব্যবহার করেছেন। যা মানতে পারেনি সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা। তাই তারাই এই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেও কোনোভাবেই অফিসকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করেননি বলে জানিয়ে দিয়েছেন সেই সুনীল সোরেন। সব মিলিয়ে হেভিওয়েট আদিবাসী নেতা বিজেপিতে যোগ দিতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল বীরভূম জেলায়। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -