পেট থেকে ত্বক! জিরে দিয়ে জীবন বদলানোর কয়েকটি উপায় জানা না থাকলে জেনে দেখুন এক্ষুনি। অন্যান্য শরীর-স্বাস্থ্য October 1, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- খাবারের মশলার মধ্যে জিরে গুঁড়া বা আস্ত জিরে ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। মশলা গুঁড়ো বা আস্তো থেকে অনেকে সেটা বেটে দিতেই পছন্দ করেন। আগেকার দিনে সমস্ত মশলা বেটে খাওয়ার চল ছিল। এতে মশলার সমস্ত গুণাগুণ পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। তবে মশলার মধ্যে থেকে এই জিরের মধ্যেই যে জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে, সেই খবর রাখেন কি? জিরেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনার দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে আপনাকে স্বাস্থ্যকর এবং আরও শক্তিশালী বোধ করতে সহায়তা করে এবং এগুলি আপনার ত্বককে বয়স্ক দেখানোর থেকে বাঁচাতেও সহায়তা করে বলে মনে করা হয়। এছাড়া জিরে দেহে ক্যান্সার বৃদ্ধিকারী কোষগুলি ধ্বংস করতে এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যা আটকাতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জিরে থেকে নির্গত তেল কার্যকর লার্ভিসাইড এবং এন্টিসেপটিক উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এই তেল অন্যান্য অ্যান্টিসেপটিক্সের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেনকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। দেখা গেছে, জিরে ইমিউন সিস্টেমকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে এমন ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়াকে মারতে সহায়তা করে। জিরেতে একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, এন্টিসেপটিক প্রভাব থাকে বলে মনে করা হয়। এর অর্থ হ’ল যদি আপনার শরীরে কোথাও ব্যথা বা প্রদাহ হয় তবে জিরে এই প্রভাবগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এছাড়া জিরে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয় সেই সঙ্গে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এই জিরে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত জিরের জল খেলে শরীরের ডায়াজেস্টিভ এনাজাইমের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে লিভারে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই রোজ রাতে জলে জিরে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। সকালে খালি পেটে সেই জল খেয়ে নিন। এতে লিভারের সঙ্গে ত্বকও ভালো থাকে বলে মনে করা হয়। এছাড়া জিরেতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করে বলে মনে করা হয়। ফলে জিরে ব্যবহারকারীর নানাবিধ রেসপিরেটরি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে বলে জানা যায়। জিরেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা শরীরে মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার সুন্দরভাবে হজম হয়। ফলে কোলেস্টেরলের আশঙ্কা থেকে শুরু করে ওজন বাড়া একেবারে কমে যায়। তাই সুন্দর সুস্থ শরীর পেতে প্রতিদিনের খাবারের এভাবেই জিরার ব্যবহার রাখতেই পারেন। আপনার মতামত জানান -