এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জিতেন্দ্র, শুভেন্দু, সুনীল বৈঠক, তবে কি এরাও বিজেপিতে? জল্পনা তুঙ্গে!

জিতেন্দ্র, শুভেন্দু, সুনীল বৈঠক, তবে কি এরাও বিজেপিতে? জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের বিদ্রোহ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এমনিতেই চিন্তায় রয়েছে গোটা তৃণমূল পরিবার। মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বুধবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। আর শুভেন্দু অধিকারীর একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের যখন অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন এবং তার দলবদলের জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে, ঠিক তখনই বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের একের পর এক জনপ্রতিনিধিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন।

আসানসোলের জিতেন্দ্র তিওয়ারি থেকে শুরু করে পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডল, প্রায় প্রত্যেকেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের সক্রিয়তা নিয়ে আপত্তি তুলতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে বুধবার শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে পৌঁছে গেলেন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সুনীল মণ্ডল, কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, আসানসোল পৌরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান দীপ্তাংশু চৌধুরীর মত তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতারা।

আর হঠাৎ করে তৃণমূলের এই সমস্ত বিদ্রোহী নেতারা এক হয়ে যাওয়ায় এবং গোপন বৈঠক করায় এবার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন, তাহলে কি এই সমস্ত নেতারা এখন একত্রিত হয়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করেছেন! যদি তাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে ভবিষ্যত যে তৃণমূলের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার সকালে জিতেন্দ্র তিওয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। যেখানে তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী গুলির সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন। উনি নেতা হবেন না তো কে নেতা হবে! তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর সবথেকে জনপ্রিয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী।” আর তার মন্তব্যের পর রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকি প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম সম্পর্কে জিতেন্দ্র তিওয়ারির মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় বঙ্গ রাজনীতিতে।

আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা পত্র বিধানসভায় জমা করে আসার পর সরাসরি সুনীল মন্ডলের বাড়িতে এসে বেশ কিছু নেতা মিলে বৈঠক করায় চাঞ্চল্য বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা অনেকদিন ধরেই দাবি করছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তার পথ ধরে অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়তে শুরু করবেন। এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ ছাড়ার আগেই তিনি যখন মন্ত্রী পদে ছিলেন, তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের একের পর এক জনপ্রতিনিধি বিদ্রোহ প্রকাশ করতে শুরু করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলের বাইরেও তাদের এই ধরনের মন্তব্য নিঃসন্দেহে শুভেন্দু অধিকারীর পথেই হাঁটার ইঙ্গিত বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল একাংশকে। আর এই পরিস্থিতিতে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা যারা বিদ্রোহ পোষন করছেন, তাদের নিয়ে বুধবার বৈঠক করলেন সেই শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু কী হল এই বৈঠকে! এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনেকে বলছেন, একটা জিনিস কার্যত পরিষ্কার, জিতেন্দ্র তিওয়ারি থেকে শুরু করে সুনীল মণ্ডল সকলেই বর্তমান দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে খুশি নন। প্রায় প্রত্যেকের গলাতেই শোনা গিয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের টিম সম্পর্কে অসন্তোষের কথা। অর্থাৎ দল যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তাতে তারা যে মোটেই খুশি নন, তা নিজেদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এই সমস্ত তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। আর এবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা পত্র জমা দেওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী সেই সমস্ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন, তাতে তিনি টিম সাজাতে শুরু করে দিলেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, খুব তাড়াতাড়ি শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন। আর তার আগেই তৃণমূলের এই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তার বৈঠক তাহলে কি সেই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনাকে তীব্র করল! এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গোটা বাংলা জুড়ে‌। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!