এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > জিততে চান সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার? NASA-এর জন্য শুধু ছোট্ট এই কাজটি করতে হবে

জিততে চান সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার? NASA-এর জন্য শুধু ছোট্ট এই কাজটি করতে হবে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ছোটবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে ছোটোদের বিস্ময়ের দৃষ্টি হয়ত অনেকেরই চেনা। আপনিও হয়ত আপনার ছোটবেলায় এভাবেই অবাক হয়ে তাকাতেন তারাদের দেশের দিকে। পরে বয়েস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উন্মোচিত হয়েছে মহাকাশ তত্ত্ব। তবে সেই মহাকাশ ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু মনের মধ্যে থেকে গেছে যদি মহাকাশ যাত্রার কোনো অংশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারতেন, তাহলে মন্দ হতো না।

তবে এখানে বলে রাখি আপনি কি বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে ভালোবাসেন? বা আপনার মধ্যেও কি আছে নতুন কিছু যুগান্তকারী টেকনোলজি আবিষ্কারের ক্ষমতা? তাহলে আর দেরি নেই, নাসা নিয়ে এসেছে আপনার জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ। যার মাধ্যমে আপনিও হতে পারবেন নাসার পরবর্তী প্রজেক্টের অংশ।

নাসা সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে নিয়ে এসেছে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের নাম দেওয়া হয়েছে- ‘2021 Mono to Mars Ice and Prospecting Challenge’। চ্যালেঞ্জে বলা হয়েছে, প্রতিযোগীকে তৈরি করতে হবে এমন একটি সিস্টেম যা চন্দ্রপৃষ্ঠ হোক বা মঙ্গল, যে কোনও জায়গায় জলের অস্তিত্ব খুঁজে বের করবে বা তৈরিতে সাহায্য করবে।

সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে আগ্রহী দলকে তাদের প্রস্তাবিত ধারণার নকশা এবং কার্যনীতির একটি পরিকল্পিত প্রকল্প জমা দিতে হবে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ চলতি বছরের ২৪শে নভেম্বর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ১০টি দলকে বেছে নেওয়া হবে। এই দশটি দলের প্রত্যেককে তাদের নিজেদের প্রস্তাবিত মডেলটি তৈরি করার জন্য এবং পরীক্ষার জন্য ৬ মাস সময় দেওয়া হবে। আর এই ৬ মাস ধরে মডেলটি তৈরি করার জন্য খরচ বাবদ প্রতি মাসে তারা ভারতীয় টাকায় আনুমানিক সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা বৃত্তি হিসেবে পাবে।

তবে যে মডেলটি শেষপর্যন্ত নাসার তরফ থেকে নির্বাচিত হবে, সেটিকে আগামী বছরের জুন মাসে ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটনের নাসার ল্যাংলি রিসার্চ সেন্টারে প্রদর্শন করা হবে।নাসার এক প্রযুক্তিবিদদের কথায়, মহাকাশে জল অনেক কাজই লাগে। পৃথিবী থেকে সেই জল বয়ে নিয়ে যাওয়া মুখের কথা না। অনেকদিন থেকেই চাঁদে বা মঙ্গলে জল পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অনেকবার জলের প্রমাণও পাওয়া যায়। তবে এবার আমরা চাইছি সেই কাজের আরও কাছাকাছি যেতে। যাতে নিশ্চিতরূপে আমরা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারি। সেক্ষেত্রে যদি জল মেলে তবে তা পানীয় হিসেবে ব্যবহারের আগে বা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের আগে বিশুদ্ধ করে নেওয়ারও ব্যবস্থা করতে হবে। তবে নাসার এই উদ্যোগ যে অনেক ছেলেমেয়েদের কাছে এক নতুন যুগান্তকারী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে এবং তাতে যে তারা বিশেষ উৎসাহী সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!