প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। আর তাই নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। অন্যদিকে প্রতিটি ঘটনাকেই বিজেপি নিজেদের অস্ত্র বানিয়ে প্রয়োগ করছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে মাটি খুঁড়ে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আর তাই নিয়ে এবার শাসকদলের দিকে ইঙ্গিত করে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তাঁর মতে অস্ত্র-গুলি মাওবাদী বা সিপিএম আমলের হার্মাদ- যে কারোরই হতে পারে। আবার এই আমলের তৃণমূল দুষ্কৃতীদেরও হতে পারে। অন্যদিকে এই একই ঘটনা সম্পর্কে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় পুরো দায়ভার সিপিএমের ঘাড়ে চাপিয়েছেন। পাল্টা সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গোয়েন্দারা এতদিন পর্যন্ত এই অস্ত্র অভিযান করতে পারেনি কেন? আপাতত রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে গোয়ালতোড়ের অস্ত্র উদ্ধার ঘটনায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় মেদিনীপুর সংলগ্ন জঙ্গলমহল মাওবাদীদের অন্যতম আখড়া ছিল। এবং তাঁরা অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হামলা করত। আবার সিপিএম আমলে তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূলের অভিযোগ ছিল সিপিএম দুষ্কৃতী বাহিনী হার্মাদরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াতো। তবে দীর্ঘদিন পর আবার জঙ্গলমহলের মাটি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। একসময় জঙ্গলমহলে তীব্র মাওবাদী প্রভাব লক্ষ্য করা যেত। কিন্তু রাজ্যে তৃণমূল আসার পর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তৃণমূল ক্ষমতায় এলে জঙ্গলমহলে ধীরে ধীরে উন্নয়নের বার্তা যায় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে দাবি শাসক শিবিরের। এসবের মধ্যেই আবার নতুন করে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি হওয়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে আশঙ্কা। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, জঙ্গলমহলে হয়তো আবার ভেতরে-ভেতরে শুরু হতে চলেছে মাওবাদী কাণ্ডকারখানা। এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, গোয়ালতোড়ের অস্ত্র উদ্ধার সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। তবে পরিস্থিতি দেখতে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। পুরো পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হয়েছে।