এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > লকডাউনের মাঝেই এল বড়সড় সুখবর! দেশজুড়ে হতে চলেছে ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান! জানুন বিস্তারিত

লকডাউনের মাঝেই এল বড়সড় সুখবর! দেশজুড়ে হতে চলেছে ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান! জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার সংক্রমণের কারণে দেশজুড়ে চলা দীর্ঘদিনের লাগাতার লকডাউনে দেশের কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে কাজ হারিয়েছেন অসংখ মানুষ। দেশে বেকারত্বের পরিমান ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বর্ধিত বেকারত্বের সমস্যার মাঝেও আসার এল দেখালো কেন্দ্রীয় সরকারের একটি ঘোষণা। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আগামী তিন বছরের বছরের মধ্যে দেশে ১২ লক্ষ কর্মসংস্থানের দাবি করা হয়েছে।

দেশে বিদেশের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে ও দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ব্যপকভাবে বৃদ্ধি করতে কেন্দ্রীয় সাকারের পক্ষ থেকে আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে দেশজ উৎপাদনের পরিমান বৃদ্ধি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ ভাতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কোন একটি উৎপাদন কেন্দ্র যতটা পরিমান উৎপাদন করবে, ততই বেশি থাকে উৎপাদন কর হ্রাস করা হবে সেই সঙ্গে বিপণন করেও দেওয়া হবে ছাড়। গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “ই প্রকল্পে বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বৃহৎ ২২টি সংস্থা এগিয়ে এসেছে তালিকাভুক্ত হতে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া আবেদন অনুযায়ী বলা যায়, আগামী ৫ বছরে সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার মোবাইল উৎপাদন হবে ভারতে। আর ৭ লক্ষ কোটি টাকার রপ্তানি হবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরো জানিয়েছেন ” আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বহু দেশীয় মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স উপকরণ প্রস্তুতকারক সংস্থাও এগিয়ে এসেছে।” এই প্রকল্পে আরো ১১ কোটি টাকার লগ্নি আসতে চলেছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের এই আত্মনির্ভর প্রকল্পের মূল লক্ষ হলো, বিদেশ থেকে মোবাইল সহ বৈদ্যুতিন দ্রব্যের আমদানির পরিমান হ্রাস করা। এই প্রকল্পে প্রধানত দেশে ১৫ হাজার টাকা কংবা তার চেয়ে কমদামি মোবাইলের উৎপাদনের উত্তরে অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। কারণ, এরকম দামের চীনা মোবাইলেই এখন ছেয়ে গেছে ভারতের বাজার। তাই চীনের একাধিপত্য রোধে ভারত সরকারের এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে বৈদ্যুতিন পণ্যের চাহিদা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাবে। আর সেই চাহিদার সঙ্গে তাল রেখে উৎপাদন বৃদ্ধি করে প্রত্যক্ষভাবে ইলেকট্রনিক্স, যন্ত্রাংশ ও মোবাইল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান ঘটবে আর পরোক্ষভাবে ঘটবে ৯ লক্ষ লোকের। এমনটাই আসা করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক।

প্রসঙ্গত, অল্পদিন আগেই ভারতে বিদেশ থেকে রঙ্গিন টিভি আমদানির উপরে রাস পড়িয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক। যা ইতিপূর্বে ছিল না। বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রকের লাইসেন্স ব্যাতিত এই বানিজ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এতেই হ্রাস পাবে ভারতের রঙিন টিভির বাজারে চীন ও ভিয়েতনামের একাধিপত্য। পরিবর্তে ভারতের টিভি নির্মাণ সংস্থাগুলির কাছে আসতে চলেছে এক সুবর্ণ সুযোগ। এর ফলে একদিকে যেমন বাড়বে তাদের উৎপাদন আর অন্যদিকে তেমনি বাড়বে কর্মসংস্থান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!