দীর্ঘ টালবাহানার পর হাতে উঠল চাকরির নিয়োগপত্র, আবেগ উপচে পড়ছে নতুন শিক্ষকদের রাজ্য September 11, 2018 দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান! নানা টালবাহানা,আইনি জটিলতা পেরিয়ে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলেন হবু শিক্ষক শিক্ষিকারা। খুশির আনন্দে ভাসছেন তাঁরা। ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাদশ -দ্বাদশ শ্রেনী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা মিটে গেলেও আইনি জাঁতাকলে পিষছিল হবু শিক্ষকদের ভবিষ্যত। দফায় দফায় আন্দোলন,প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল কম হয়নি বিকাশভবন চত্বরে। তবে সব লড়াই সার্থক করে সফল হল চাকরী প্রার্থীদের আশা। এদিন সকাল থেকেই করুণাময়ী পর্ষদের অফিসের সামনে ভীড় জমাতে শুরু করেন হবু শিক্ষকেরা। ডিরোজিও ভবনের সামনে ভীড় উপচে পড়েছিল তাঁদের। সঙ্গ দিয়ে হাজির ছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের আত্মীয়স্বজনেরা। তিনটি জেলার হবু শিক্ষকদের চাকরির নিয়োগপত্র বিলি করা হয়েছে এখান থেকে। প্রথম পর্বে বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ দিনাজ পুর,দ্বিতীয় পর্ব বীরভূম,কোচবিহার এবং শিলিগুড়ির প্রার্থীদের চাকরির চিঠি দেওয়া হয়। চিঠি পেয়েই একরাশ তৃপ্তির হাসি নিয়ে বেরিয়ে আসেন হবু শিক্ষকেরা। আনন্দ উপচে পরে সঙ্গে আসা আত্মীয় স্বজনের হাসিতেও। তবে ভেতরে নাকি অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়েছিল বলেই জানালেন এক চাকরিপ্রার্থী। তবে তা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তাঁদের। আসল উদ্দেশ্যে ছিল চাকরির চিঠি হাতে পাওয়া। সেটা হাতে আসতেই বাকি কিছুতেই আর গুরুত্ব দিলেন না তাঁরা। কোচবিহার থেকে আসা দুই হবু শিক্ষক নাম না উল্লেখ করেই জানালেন,‘সকালেই চলে এসেছি এখানে। আমাদের চিঠি দেওয়ার কথা দ্বিতীয়ার্ধে। তবুও কৌতূহলবশত আগে চলে এসেছি। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত হাতে পেলাম এই চিঠি। কী শান্তি! যেন যুদ্ধ জয় করে ঘরে ফিরছি।’ ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে নিয়োগপত্র হাতে এলেও বিতর্কের একটা জায়গা তৈরি হয়েছে। সাধারণত এসবক্ষেত্রে সই করেন সচিব বা উপসচিব। কিন্তু নিয়োগপত্রে তাঁদের কোনো সাক্ষর নেই। পর্ষদে সচিব পদ ফাঁকা আর উপসচিব ছুটিতে রয়েছেন। এরজন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন প্যানেল পাঠিয়ে দিলেও তা পর্ষদেই পড়ে ছিল। শেষে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় চাপে পরেই নিয়োগপত্রে সই করতে হয় পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এ বিতর্কে তেমন একটা আমল দিচ্ছেন না হবু শিক্ষকরা। নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার আনন্দে যাবতীয় ক্ষোভ, অভিমান ভুলে নতুন উল্লাসে মাতলেন তাঁরা। আপনার মতামত জানান -