বড়সড় কর্মসংস্থানের সন্ধান দিলেন অনুব্রত মণ্ডল, খুশি হাওয়া এলাকায় তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউনের মধ্যে মানুষের রুজি-রুটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। সরকারের পক্ষ থেকে নতুন চাকরির আদৌ ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে বেকার যুবক যুবতীরা। তবে এবার নিজের গড়ে কয়লা শিল্প নিয়ে কার্যত খুশির খবর শোনালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যেখানে বিপুল কর্মসংস্থানের আশা পাওয়া গেল তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ডেউচা-পাচামি কয়লা শিল্প নিয়ে স্থানীয় মানুষদের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। আর তারপরেই নানা মহলের তরফে শুনতে পাওয়া যায় যে, এখানে শিল্প স্থাপন হলে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। আর এবার সেই কথাই শুনতে পাওয়া গেল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। সূত্রের খবর, রবিবার বীরভূমের মহম্মদবাজারে তৃণমূলের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এখানে যদি কয়লা শিল্প হয়, আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে কোনো মানুষজন বঞ্চিত হবেন না। সকলের কর্মসংস্থান হবে। প্রত্যক্ষভাবে এক লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। অনেক আদিবাসী মানুষের চাকরি হবে। স্থানীয়রাই সুযোগ পাবেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, সেটা করেন। এই নিয়ে কারও কোনো চিন্তার কারন নেই।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ডেউচা-পাচামি এলাকায় কয়লা শিল্প স্থাপন নিয়ে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে কিছুটা হলেও অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। তারা যদি জায়গা দেয়, তাহলে বিকল্প সুবিধা হিসেবে তাদের সহযোগিতা করা হবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। উচ্ছেদের আশঙ্কা নিয়ে অনেকেই এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়ার পর বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সকলকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে রীতিমত সেই সমস্ত মানুষদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন। অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডল একথা বলে যেমন সেখানকার মানুষের মনে বিশ্বাস তৈরীর চেষ্টা করলেন, ঠিক তেমনই শিল্প স্থাপনের পক্ষে সওয়াল করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -