এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > জবকার্ড চেয়ে হেনস্থার মুখে দুই গৃহবধূ! খোদ বাংলার বুকে! বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

জবকার্ড চেয়ে হেনস্থার মুখে দুই গৃহবধূ! খোদ বাংলার বুকে! বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার বিজেপির এক নেতার বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ। রাজনীতিতে মহিলা নিগ্রহের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের নারী নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত থাকতে দেখা যাচ্ছে। ঠিক এরকমই এবার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল। বসিরহাট মহকুমা হাড়োয়া থানার গোপালপুরে জব কার্ড চাইতে গিয়ে বিজেপি নেতার হাতে রীতিমতো নিগৃহীত হলেন দুই গৃহবধূ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও জোর গুঞ্জন। সূত্রের খবর, উত্তর 24 পরগনা বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার গোপালপুরের এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর কাছে জব কার্ড চাওয়ায় দুই গৃহবধূকে মারধর করেন তিনি।

যদিও ওই বিজেপি নেতা সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলেই জানা গেছে। পাল্টা তিনি জব কার্ড চাইতে আসা মহিলাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন। জানা গেছে, গোপালপুরের দাসপাড়া গ্রামের দুই গৃহবধূ কল্যাণী রুইদাস এবং সোমা রুইদাসের জব কার্ড দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি নেতা তুফান রুইদাস আটকে রেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে জব কার্ডের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে কল্যাণী ও সোমা নিজেদের জবকার্ড চাইতে যান তুফান রুইদাসের কাছে। সেসময় তাঁদেরকে আটকে রেখে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, এই নিগ্রহ চালান তুফান রুইদাস ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা।

দুই গৃহবধূ অভিযোগ করেছেন তাঁদেরকে মাটিতে ফেলে রীতিমতো মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। এমনকি তাঁদের পরনের শাড়ি-ব্লাউজও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তাঁরা। শারীরিক নিগ্রহের পর ওই দুই গৃহবধূর পরিবারের লোকেরা গিয়ে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাওড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার অভিযোগে তুফান রুইদাস এবং তার সহযোগী বিট্টু দাস, সুমন দাস এবং শুকদেব দাসের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই হাড়োয়া থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তুফান রুইদাস অভিযোগ করেছেন, ওই দুই গৃহবধূ জবকার্ড চাইতে এসে তাঁদের বাড়ির এক মহিলাকে মারধর শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এ ঘটনার পেছনে অন্য কারোর ইন্ধন থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা। মনে করা হচ্ছে এই অনুমানের মধ্যে দিয়ে বিজেপি নেতা তৃণমূলের জড়িত থাকার দিকে ইঙ্গিত করছেন। উক্ত বিজেপি নেতাদের তরফ থেকেও হাড়োয়া থানার পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দুই নিগৃহীত গৃহবধূর নামে। দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। জব কার্ড চাওয়ার সূত্রেই এই গন্ডগোল নাকি এই ঘটনার পেছনে রয়েছে কোনো রাজনৈতিক যোগসাজশ- সে ব্যাপারেই খোঁজখবর নেওয়া চলছে। অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পরেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

বস্তুত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন আসতে আর বেশি দেরি নেই। এই সময় গেরুয়া শিবিরের নেতারাও কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন রাজনৈতিক ময়দানে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতিতে যদি মহিলা নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত হয়ে পড়েন কোনো বিজেপি নেতা, তাহলে তা কিন্তুজোরদার বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে গেরুয়া শিবিরে বলে মনে করা হচ্ছে। যথারীতি এই ঘটনায় গেরুয়া শিবির তীব্র অস্বস্তিতে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে জবকার্ড কেন এবং কিকরে একজন বিজেপি নেতা আটকে রাখতে পারেন তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!