এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কালীপুজোর আগেই দুঃসংবাদ, নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে অস্থায়ী কর্মীদের এবার ছেঁটে ফেলার ভাবনা!

কালীপুজোর আগেই দুঃসংবাদ, নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে অস্থায়ী কর্মীদের এবার ছেঁটে ফেলার ভাবনা!

 

কিছুদিন আগেই মহালক্ষ্মীর পুজো করে আর্থিক দিক থেকে যাতে সকলে সমৃদ্ধ হতে পারে, তার জন্য গোটা রাজ্যবাসী ঘরে ঘরে মনস্কামনা করেছিল। কিন্তু সকলের ভাগ্যে যে লক্ষ্মী জোটে না, তা হাওড়া পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীদের কাছে একটি দুঃসংবাদ আসাতেই প্রমাণ হয়ে গেল।

সূত্রের খবর, সোমবার হাওড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে যে, এই পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যে 419 জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের আর চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হবে না। এই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই সেই 419 জন কর্মীর মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। কিভাবে এখন তারা সংসার চালাবেন, তা ভেবে কুল-কিনারা পান না কেউই।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, গোটা বিষয়টি নিয়ে সেই হাওড়া পৌরসভার 419 জন অস্থায়ী কর্মী এদিন পুরসভার কমিশনারের ঘরের সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখান। তবে এই কর্মীদেরকে যে ছাটাই করে দেওয়া হবে, তা কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসে হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে এসে হাওড়া পৌরসভার এই নিয়োগ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুর দপ্তরের অনুমোদন না নিয়ে কেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হল, সেই ব্যাপারে উষ্মা প্রকাশ করে সকলকে ধমকও দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শুরু হয় যে, তাহলে কি হাওড়া পৌরসভার তরফে যে 419 জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলি যাবে! তাদেরকে এবার কি ছাঁটাই করে দেবে পৌরসভা!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এতদিন এই ব্যাপারে পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ করা না হলেও সোমবার সেই ছাঁটাই হওয়ার নোটিশ দেওয়ায় অস্থায়ী কর্মচারীদের মধ্যে রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়। এদিন এই প্রসঙ্গে হাওড়া পৌরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা বলেন, “সরকার 30 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমোদন দিয়েছিল। ওই তারিখ পার হয়ে গিয়েছে। নতুন করে আর কোনো অনুমোদন সরকার দেয়নি। তাই আমরা ওই 419 জন এর চুক্তি রিনিউ করতে পারছি না।”

কিন্তু হঠাৎ করে তাদেরকে ছাঁটাই করে দেওয়ার যে বিজ্ঞপ্তি পৌরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া হল, তাতে কর্মচারীরা ক্ষোভে ফুঁসছে শুরু করেছেন। এখন কর্মচারীদের আবেদনের ভিত্তিতে পৌরসভা আদৌ এই ব্যাপারে কোনো উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা বা কর্মচারীদের ব্যাপারটি বিবেচনা করে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!