আবার সেবার পথে বাধা,এখনই যোগীর রাজ্য ছেড়ে যাওয়া হচ্ছে না কাফিল খানের জাতীয় May 26, 2018 গত সেপ্টেম্বর মাসে শিশুমৃত্যু ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালের ডাক্তার কাফিল খান। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি। তবে সাসপেন্ড হয়ে থাকলেও কেরলের নীপা ভাইরাস আক্রান্তদের সেবা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তাকে সাধুবাদ জানিয়ে কেরল আসার জন্য স্বাগতমও করেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। দুদিনের ভিতরই সুর বদল ঘটল তাঁর। কাফিল খানকে কেরলে আসতে সাফ কথায় না করে দিলেন তিনি এদিন ফোন করে। ফলত তাকে লক্ষৌ থেকে কোচি যাওয়ার বিমানটিকিট বাতিল করতে হল। কাফিল খানের থেকে এ বিষয়ে চলভাষে জানা যায়, ”কেরলের সিএম অফিস থেকে গত রাতে ফোন এয়েছিল। ওরা জানিয়েছে, দিল্লি এইমস থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে কেরল পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই আমার কেরল যাওয়ার টিকিট কয়েক দিনের জন্য পিছিয়ে দিতে বলেছে।” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে বিনা পয়সায় চিকিৎসক করার সুযোগে হাতছাড়া হওয়াতে খানিকটা আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি। বক্তব্যে জানান যে বিনা মূল্যে তিনি কেরলের মানুষের সেবা করতে যাচ্ছিলেন।কিন্তু যোগীজির সরকার তা চায় না। তাই তাঁর সাসপেনস তুলে দিয়ে তাকেকে সুস্থভাবে চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করতে বাধা দিচ্ছে। জানা গেছে,কেরলে তাকে স্বাগত জানানোর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গেছিলো। তাঁর পরিবার প্রথমে বারণ করলেও পরে তাকে কেরলে যাওয়ার সম্মতিও দিয়েছিলো। কথা ছিল তাঁর দাদা আদিল খান তাঁর সঙ্গে কেরল সফরে থাকবেন। কিন্তু তাঁর আগেই ঘটল বিনা মেঘে বজ্রপাত! কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর একটা ফোন্ কলই শেষ করে দিল সব। তবে জানা গেছে যে, এদিন তিনি কেরলে যাওয়ার অনুমতি নিতে গোরক্ষপুরের ওই বিআরডি হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। এমনকি চিঠিও পাঠিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ডিজিএমই (ডিরেক্টর জেনারেল মেডিক্যাল এডুকেশন) দফতরেও। তারপর দফতরকর্তা ফোনে তাকে জানান যে চিঠিটি গেছে রাজ্যসরকারের অনুমতি নিতে। তাতে কিছু সময় লাগবে। পরে তাকে জানানো হয় যে জামিনে মুক্ত হলেও সাসপেন্ড হয়ে থাকা কাফিল খান এখনো সরকারি কর্মী। তাই সরকারি অনুমতি ছাড়া অন্য রাজ্যে চিকিৎসার জন্য যাওয়া বা প্রাইভেট প্র্যাকটিস কিছুই তিনি করতে পারবেন না। তবে হাল ছাড়েননি তিনি। আপাতত অপেক্ষায় আছেন সুদিনের,অপেক্ষায় আছেন কেরলের ডাক আসার। আপনার মতামত জানান -