যোগীর দেখানো পথেই কি এবার মমতা? করোনা ‘রক্ষাকবচে’ যুক্ত হতে চলেছে এবার নতুন ‘অস্ত্র’? রাজ্য শরীর-স্বাস্থ্য September 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতমাসে করোনা সংক্রমণ রোধে রক্ষাকবচ হিসেবে প্রোফাইলঅ্যাক্সিস এর ব্যবহারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল উত্তর প্রদেশ। সেইসঙ্গে আইভারমেকটিনকেও করোনা চিকিৎসার তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এবার পশ্চিমবঙ্গেও করোনা চিকিৎসায় আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন, ফ্যাভিপিরাভির ব্যবহারের নির্দেশ দিতে পারে স্বাস্থ্য ভবন। এমনটাই স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন করোনা হাসপাতালের কর্মকর্তাদের কাছে এই প্রটোকলের প্রতিলিপি পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য দপ্তর তার ওয়েবসাইটে এটির কতটা প্রকাশ করবে, তাই নিয়ে করোনা বিশেষজ্ঞ কমিটি পর্যালোচনা চালাচ্ছে। তবে করোনা চিকিৎসায় এখনো আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন, ফ্যাভিপিরাভিকে তালিকাভুক্ত করে নি আইসিএমআর। এ বিষয়টির উল্লেখ করেই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিমার্জিত খসড়া প্রোটোকলে এই তিনটি ওষুধের ব্যবহারের বিষয়ে জানানো হয়েছে। আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন, ফ্যাভিপিরাভির ব্যবহার সম্পর্কে এসএসকেএমের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অভিজিৎ হাজরা জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি ফ্যাভিপিরাভি খুব অল্পই পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তাই এখনই এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয়। সেইসঙ্গে আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন করোনা প্রতিরোধক হিসেবে কতটা কার্যকরী, তা এখনও মানবদেহে পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। এই দুটি ওষুধ শুধু ল্যাবরেটরিতে (ইন-ভিট্রো) পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, এগুলিকে করোনা রোধে সক্ষম। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই ড্রাগ কন্ট্রোল অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ওষুধগুলি সেবনের পূর্বে অবশ্যই রোগীর সম্মতি নিতে। হবে এ প্রসঙ্গে প্রধান চিকিৎসক অভিজিৎ হাজরার বক্তব্য, ” দীর্ঘদিনের ওষুধ হওয়ায় আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিনের সেফটি প্রোফাইল আমাদের জানা। ফ্যাভিপিরাভির নয়া বলে সেফটি প্রোফাইল অজানা। তবে যে টুকু জানা গিয়েছে তাতে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই ওষুধগুলি ব্যবহার করা উচিত।’’ অন্যদিকে এ সম্পর্কে অ্যাপোলো গ্লেনেগলসের মেডিসিনের জনৈক চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ” ফ্যাভিপিরাভির মৃদু আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ভাল কাজ দেয়। মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গের রোগীদের ক্ষেত্রে আইভারমেকটিন উপকারী। ফুসফুসের যে কোনও সংক্রমণে ডক্সিসাইক্লিন ব্যবহার করা যায়।’’ অন্যদিকে স্বাস্থ্য ভবন সূত্র থেকে জানা গেছে , ফ্যাভিপিরাভি শুধুমাত্র করোনা পজিটিভ কিন্তু উপসর্গহীন রোগীদের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হবে। সেইসঙ্গে এটি ১৮ থেকে ৭৫ বছর বয়স্ক রোগীদেরই দেওয়া হবে। আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিনের ব্যবহারের ব্যাপারেও রয়েছে স্পষ্ট নির্দেশ। জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত কোন ব্যক্তির যদি লিভারের অসুখ থাকে। তবে তার ক্ষেত্রে এই ওষুধ গুলি ব্যবহারে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আইভারমেকটিন ব্যবহার করা হবে উপসর্গ হীন ও মৃদু উপসর্গ যুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রেই। অন্যদিকে করোনা আক্রান্তর নিকটে আসা অন্যান্য ব্যক্তি ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কতটা পরিমাণে আইভারমেকটিন ব্যবহার করবেন, তাও পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। আপনার মতামত জানান -