রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে বিজেপি, দলবদলের হিড়িক সর্বত্র, আশঙ্কার মেঘ শাসকদলের অন্দরেও কলকাতা রাজ্য June 17, 2019 লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে 42 টি লোকসভা আসনই দখল করার শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তার সেই শপথ পরিপূর্ণতা পায়নি। উল্টে বিজেপি এই রাজ্যে 18 টি আসন নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে 22 টি আসন দখল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তৃণমূলকে। আর তারপর থেকেই দিকে দিকে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেন।তবে শুধু তৃণমূল নয়, এবার বাম, কংগ্রেস থেকেও বিপুল কর্মী সমর্থকরা নাম লেখাতে শুরু করলেন গেরুয়া শিবিরে।সূত্রের খবর, এদিন ইসলামপুর ব্লকের পন্ডিকপোতা 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌধুরী বস্তি এলাকার প্রায় 300 জন বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। জানা গেছে, এদিন পন্ডিতপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএমের সদস্য মহম্মদ নাসিমও গেরুয়া শিবিরের পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন। আর দিকে দিকে যে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক নিয়ে গর্ব করে তৃণমূল, সেই সংখ্যালঘুরাও বিজেপিতে যোগদান করায় এখন বাম, কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূলেরও ঘাম ঝড়তে শুরু করেছে। কিন্তু কেন তারা বিজেপিতে যোগদান করলেন! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে মহম্মদ নাসিম বলেন, “তৃণমূলের অত্যাচার এবং দুর্নীতির জন্য এলাকার পরিস্থিতি যাতে খারাপ না হয়, সেই ব্যাপারে রুখে দাঁড়াতেই বিজেপিতে যোগদান করেছি।” অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে দাবি করা হয়েছে, বিজেপি ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে লোকসভা ভোটের পর এই যোগদান করাচ্ছে। কিন্তু এতে তারা কোনো লাভ করতে পারবে না। মানুষ যে তৃণমূলের সাথেই আছে, তা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ফের প্রমাণ হয়ে যাবে। পাল্টা বিজেপির দাবি, কি হচ্ছে তা সময়ই বলবে। কিন্তু মোদীজির উন্নয়নে নিজেদেরকে ভাসাতে যেভাবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও বিরোধী দল বাম, কংগ্রেস থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক ও নেতৃত্বরা তাদের দলে যোগদান করছে তাতে তৃনমূল যে ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনার মতামত জানান -