এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিজেপিতে যোগ দেওয়া 2 বিধায়ক প্রাণসংশয়ে ভুগছেন, হেভিওয়েট নেতার কথায় বাড়ল জল্পনা

বিজেপিতে যোগ দেওয়া 2 বিধায়ক প্রাণসংশয়ে ভুগছেন, হেভিওয়েট নেতার কথায় বাড়ল জল্পনা


লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় এবার অভূতপূর্ব ফলাফল করেছে। আর তৃণমূলকে চাপে ফেলে দিয়ে গেরুয়া শিবিরের এই ভালো ফলাফলের পরই উত্তর 24 পরগনা জেলা সহ সারা রাজ্যে তৃণমূলের সংগঠনে ধ্বস নামতে শুরু করে। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের হাত ধরে তার পুত্র তথা বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এবং পরবর্তীতে নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিং গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান।

এদিকে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ জয়লাভ করার পরই প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় ভাটপাড়া এলাকায়। লাগাতার বোমা, গুলির লড়াইয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন সাধারন মানুষ। আর সম্প্রতি সেই ভাটপাড়ার মেঘনা মোড় এলাকায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়ির সামনে ব্যাপক বোমাবাজি এবং বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তবে যখন এই বোমাবাজি এবং গুলিচালনার ঘটনা ঘটে, তখন দিল্লিতে অধিবেশনে ছিলেন অর্জুন সিংহ।

এদিকে গত শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতে ফিরে নিজের প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা যায় সেই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদকে। তিনি বলেন, “দুষ্কৃতীরা যেখানে হামলা চালিয়েছে সেই বাড়িতে সাংসদ, বিধায়ক ও পুরপ্রধান থাকে। পুলিশের পোশাক পরা গুন্ডারা যে কোনো মুহূর্তে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করতে পারে। শুধু আমি নই, বিজেপির যে জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেছে, সেই জনপ্রতিনিধিরাও নিরাপদ নয়। সবাই শাসকদলের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হতে পারেন।”

এদিকে অর্জুন সিংহের এহেন মন্তব্যের পরই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র জল্পনা তৈরি হয়। তাহলে কি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি সাংসদের কাছে খবর রয়েছে যে, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জনপ্রতিনিধিরা নিরাপদ নন! তারা আক্রান্ত হতে পারেন! আর এই প্রশ্নই যখন ঘোরাফেরা করছে সব মহলে, ঠিক তখনই সেই অর্জুন সিংহের দাবিকে সত্যি করে প্রাণসংশয়ের ব্যাপারে বলতে শোনা গেল বীজপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় এবং নোয়াপাড়ার বিজেপি বিধায়ক সুনীল সিংহকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শনিবার শুভ্রাংশু রায় বলেন, “আমি সূত্র থেকে খবর পাচ্ছি যে রাজ্যের শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকা দুষ্কৃতীরা পুলিশের মদতে আমার বাড়িতে হামলা করতে পারে। আমি প্রাণসংশয়ের আশংকা প্রকাশ করছি।” শুধু তাই নয়, সদ্য তৃনমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই বিধায়ক আরও অভিযোগ করে জানান যে, তিনি যখন তৃণমূলে ছিলেন তখন প্রথমে তাঁর ছয় জন নিরাপত্তা রক্ষী থাকলেও পরে তা চারজন করে দেওয়া হয়। আর তিনি বিজেপিতে যোগদান করতেই তার সমস্ত নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে শুভ্রাংশু রায়ের মত এদিন নিজের নিরাপত্তার অভাব বোধ করতে দেখা যায় সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহকে। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একজন সাংসদ যেখানে সুরক্ষিত নয়, সেখানে আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। বিজেপিতে যোগদানের পরই আমার সব নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে। আমি বিষয়টা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার এবং বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।”

আর অর্জুন সিংহের পর তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এবং সুনীল সিংহের মন্তব্যকে ঘিরে এবার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, একজন সাংসদের বাড়িতে গুলি এবং বোমা চললেও পুলিশ প্রশাসনকে সেইভাবে কোনও ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। যা সত্যিই অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে দাবি একাংশের।

ফলে সেদিক থেকে বঙ্গ রাজনীতির এই ওলটপালট পরিস্থিতিতে তৃণমূল থেকে যে সমস্ত বিধায়ক শিবির বদলে বিজেপিতে যোগদান করছেন তাদের নিরাপত্তার ঠিক কতটা অটুট থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যার মূলে রয়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার দিকে একটি বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!