তিন হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়ে বিজেপিতে যোগ প্রাক্তন জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতার রাজ্য August 12, 2018 দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আবারো শক্তিবৃদ্ধি করল গেরুয়া শিবির। গতকাল একদিকে যখন কলকাতার মেয়ো রোডে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ তীব্র আক্রমন শানাচ্ছেন রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, অন্যদিকে তখন, তিন হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপির কার্যালয়ে এসে হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে নিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা হেভিওয়েট বামনেতা রমণীরঞ্জন দাস। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা সরকারিভাবে পেয়ে গেছে গেরুয়া শিবির। আর তারফলে বিজেপি নেতৃত্ত্বের দাবি এবার বাংলায় আবার পরিবর্তন ঘটিয়ে গেরুয়া-শাসনের সূচনা নাকি সময়ের অপেক্ষা। এমনকি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে ২২ টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রাও ঠিক করে ফেলেছেন বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ত্ব। আর তাঁদের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে বিভিন্ন দল থেকে প্রায় প্রতিদিনই নেতা-কর্মীরা গেরুয়া পতাকার নীচে আসছেন। আর সেই যোগদানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গতকাল বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি ত্রিদিব মন্ডলের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন সিপিএমের জেলা পরিষদ সদস্য রমণীরঞ্জনবাবু। এই দলবদলের ফলে কুলতলি এলাকায় সিপিএমের সাংগঠনিক দুর্বলতা আরো প্রকট হল, অন্যদিকে বড়সড় শক্তিবৃদ্ধি করল গেরুয়া শিবির বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েই তিনি তোপ দাগেন তাঁর প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য, সিপিএম বা বামফ্রন্টে থেকে আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার অবস্থা নেই। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার পরিস্থিতিই নেই দলে। সাধারণ মানুষের পাশে থাকতেই দলবদল করলাম। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের তিনি আরো যোগ করেন, বাম দলে তৈরি হয়েছে ক্ষয়িষ্ণু পরিবেশ। ক্রমেই শক্তি হারাচ্ছে দল। দলের মধ্যে কোনও গঠনমূলক চিন্তাভাবনা নেই। বাম নেতৃত্ব প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়ার মতো কোনও পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি। আর উল্টোদিকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল গোটা বাংলায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। রমণীরঞ্জনবাবু এরপরেই জানান, এই অবস্থা থেকে রাজ্যকে মুক্ত করার জন্যই এই মুহুর্তে বিজেপিই সঠিক মঞ্চ বলে মনে হয়েছে। তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম। বিজেপির সৈনিক হিসেবে কাজ করব। জেলা সভাপতিকে আগেই জানিয়েছিলাম, রাজ্যে লালের দিন শেষ হয়েছে। সবুজের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গেরুয়াই সঠিক জায়গা। আমি বিজেপিতে যোগ দিতে চাই। আপনার মতামত জানান -