এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > খাদ্যমন্ত্রীর গড়ে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে ভাঙন ধরিয়ে দিল বিজেপি

খাদ্যমন্ত্রীর গড়ে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে ভাঙন ধরিয়ে দিল বিজেপি


যে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় এগিয়ে এসেছেন,যাদের সমস্ত দাবীদাওয়া মিটিয়ে দিতে সবসময় তৎপর থেকেছেন রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারাই এবার আগ বাড়িয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন,তাও লোকসভা ভোটের আগেই। এবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গড়েই দলে দলে সংখ্যালঘুরা যোগ দিলেন বিজেপিশিবিরে। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রায় তিন শতাধিক সংখ্যালঘুকর্মীদের মধ্য তৃণমূল কর্মীদের পাশাপাশি ছিলেন বামেরাও। তৃণমূলের সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরিয়ে খুশির হাওয়া উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপি শিবিরে। এছাড়া দলে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বাড়ায় বাড়তি লোকসভা ভোটের আগে বাড়তি একটা সুবিধা পেতে চলেছে বিজেপি। এতোদিন ধরে বিরোধীরা বিজেপিকে ‘সাম্প্রদায়িক’ আখ্যা দিয়ে যে আক্রমণ শানিয়ে এসেছে এবার সেই আক্রমণের পাল্টা জবাব সংখ্যালঘুরাই দিয়ে দিল বিজেপিতে এসে। বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করে – এটা বলে আর বিজেপিকে তোপ দাগতে পারবে না এবার বিরোধীরা। বাংলায় ক্ষমতা দখলের লক্ষ্য এক ধাপ এগিয়ে গেল বিজেপি,এমনটাই মনে করছেন রাজ্যের পদ্মনেতৃত্বরা।

জেলা সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,সম্প্রতি বিজেপি তফসিলি মোর্চার তরফ থেকে একটি জনসভার আয়োজন করা হয় স্বরূপনগরে। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সংখ্যালঘু মুখ তথা একসময়ের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ট আইনজীবী নাজিয়া ইলাহি এবং বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁরা দুজনই এদিন জনসভায় তিন শতাধিক কর্মীরা হাতে গেরুয়া ঝান্ডা তুলে দেন।

বিরোধী দল থেকে আসা কর্মীদের দলে গ্রহন করে বেজায় খুশি জয়-নাজিয়ারা। বক্তব্য জয় বাবু জানালেন,বামজামানার শেষপর্বের দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ ক্ষমতায় আনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যে উত্থান ঘটে জোড়াফুল পতাকার। সাদা শাড়ি,হাওয়াই চটি, টালির চাল দেখে বাংলার মানুষ মনে করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সেই মানুষ যে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মোচন করবেন। কিন্তু বাংলার মানুষের সেই ধারণা যে কত ভুল ছিল সেটা তিনি ক্ষমতা আসার দুই-তিন বছরের মধ্যেই প্রমান করে দিয়েছিলেন। রাজ্যকে সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিনত করেছেন তিনি,উন্নয়ণ তো দূরের কথা। গনতন্ত্রের নাম অপশাসন চালাচ্ছেন নেত্রী। বাংলার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এই কালবেলায় মানুষ আবার মুক্তি চাইছে। আর এবার বাংলাকে বেহাল দশা থেকে মুক্তি দিতে পারবে একমাত্র বিজেপি। একথা বলে তিনি সদ্য দলে আসা কর্মীদের কর্মযজ্ঞে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য উৎসাহ দিলেন। প্রসঙ্গে টানলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বললেন,একমাত্র মোদীজিই পারেন সংখ্যালঘুদের স্বপ্নগুলোকে সাকার করতে,তাদের মুখে হাসি ফোটাতে। আর এতোদিন পরে সংখ্যালঘু মানুষেরা সেটা উপলব্ধি করে বিজেপিতে যোগ দিতে ছুটে এসেছেন। মোদী-ম্যাজিকের প্রভাব ফের একবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দেখতে পারবেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে। বাংলার পরিবর্তনের সূচনা হবে বিজেপির জয়ের মাধ্যমেই। তৃণমূলের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটে জেতার অন্যতম যাদুকাঠি,তাতেই এবার থাবা বসিয়েছে বিজেপি। তীব্র অস্বস্তিতে ঘাসফুলশিবির। এর পাল্টা জবাব তৃণমূল কীভাবে বিজেপিকে দেয়,সেটা নিয়েই আপাতত চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্যরাজনীতির অন্দরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!