এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর হাতে তৈরি সংগঠন মিশে গেল কংগ্রেসে, লোকসভার আগে আরও চাঙ্গা হাত শিবির

সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর হাতে তৈরি সংগঠন মিশে গেল কংগ্রেসে, লোকসভার আগে আরও চাঙ্গা হাত শিবির


বিরোধী দল হলেও যত দিন যাচ্ছিল ততই যেন ভেঙে পড়ছিল এই রাজ্যের কংগ্রেসের সংগঠন। কিন্তু প্রদেশ সভাপতি পদে সোমেন মিত্র দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দল বেশ কিছু থেকে কর্মী-সমর্থকরা সেই কংগ্রেসের পতাকা তলে আসতে শুরু করেন। এবার একদা রাজ্যের বর্তমান তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর হাতে তৈরি সংগঠন সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের পিডিসিআইও যোগ দিল কংগ্রেসে।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার এই পিডিসিআইয়ের বিধায়ক আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে বেশ কিছু কর্ম সমর্থকরা যোগ দেন কংগ্রেসে। জানা যায়, সারা রাজ্যের প্রায় 13 টি জেলার পিডিসি আই নেতৃত্বরা এদিন কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন। এদিন বিধান ভবনে তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র।

তবে বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূল বিরোধীতাকে কেন্দ্র করে অনেকে কংগ্রেসের পতাকা তলে আসলেও ভবিষ্যতের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে সেই তৃণমূলের সাথেই কংগ্রেসকে জোট করতে হয় কিনা সেই ব্যাপারটি চিন্তা করে এখন অনেকটাই আশঙ্কায় রয়েছেন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বরা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা পিডিসিআইয়ের মত দলগুলি প্রথমে সিপিএম এবং পরে 2016 সালে বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রবল বিরোধিতায় সরব হয়। যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই তৃণমূলকে চাপে ফেলতে এদিন কংগ্রেসে যোগ দিলেন তাঁরা। কিন্তু রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার খাতিরে যদি রাজ্যে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের পক্ষ থেকে সেই তৃণমূলের সাথে জোট করতে বলা হয় তাহলে পিডিসিআইয়ের মত রাজনৈতিক দলগুলো যে কংগ্রেসের ওপরও আস্থা হারাবে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই।

আর তাইতো এখন রাজ্যের তৃণমূলের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের জোট সমীকরণের দূরত্ব ঠিক বজায় রাখা যায় সেই চিন্তা ভাবনাই শুরু করে দিয়েছেন সোমেন মিত্ররা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যের 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি আসনই নিজেদের দখলে রাখার কথা বলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এতেই পরিষ্কার যে, কংগ্রেস চাইলেও এই রাজ্যে তাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করবে না শাসক দল।

আর তাই হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে যদিও বা তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে বলা হয়, তাহলে তা অপ্রাসঙ্গিক হবে বলেই মনে করছে রাজ্য কংগ্রেসের নেতারা। অন্যদিকে রাজ্যে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে বিধান ভবনের ওপরেই সমস্ত কিছু ছেড়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা।

তবে শেষ মুহূর্তে যদি রাহুল গান্ধীর ইচ্ছানুসারে এই রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের জোট করতে হয় তাহলে এই বিভিন্ন দল থেকে আসা রাজনৈতিক কর্মীদের আস্থা যে কংগ্রেসের ওপর থেকেও উঠে যাবে এই আশঙ্কায় রয়েছেন সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নানেরা। আর এদিন সেই আশঙ্কার সুর শোনা গেল রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রের গলাতেও।

এই প্রসঙ্গে এদিন সোমেন মিত্র বলেন, “অনেকেই কংগ্রেসে যোগ দিতে প্রস্তুত। তবে লোকসভার আগে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা হলে এই দলত্যাগীদের মুখ পুড়বে। সর্বভারতীয় দলের রাজ্য শাখার পক্ষে জাতীয় রাজনীতির নীতি নির্ধারণ সম্ভব নয়। তাই এনিয়ে কোনো আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস আমার পক্ষে দেওয়াও সম্ভব নয়।” সব মিলিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোট এড়াতে শেষ চেষ্টায় মরিয়া সোমেন মিত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!