এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > জলে কুমির ডাঙায় বাঘ, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানির মধ্যেই হানা আরও এক মারণ ভাইরাসের

জলে কুমির ডাঙায় বাঘ, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানির মধ্যেই হানা আরও এক মারণ ভাইরাসের


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দেশের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন স্তিমিত হয়ে এলেও, বেশকিছু রাজ্যে আবার নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। যাকে করোনার তৃতীয় ঢেউ বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। আর এই পরিস্থিতিতে আরও একটি মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। যা হলো মশাবাহিত জিকা ভাইরাস। ইতিপূর্বে মহারাষ্ট্রে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। এবার এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশে।

জিকা ভাইরাস মশাবাহিত, মশার কামড় থেকেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর দেখা যায়, সেই সঙ্গে কনজাংটিভাইটিস এর মতো সমস্যা বাড়তে থাকে, অনেক সময় শরীরে চুলকানি দেখা যায়, পেশিতে ব্যথা, হাতে-পায়ে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, মাথাব্যথা দেখা যায়, সময়মত চিকিৎসা না হলে, এ থেকে মৃত্যুও ঘটতে পারে। আরও আশংকার বিষয় হল আক্রান্ত হওয়ার পরই শরীরে উপসর্গ দেখা যায় না। অনেক সময় আক্রান্ত হবার ২ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত কোন সমস্যা দেখা যায় না এরপর থেকেই একের পর এক সমস্যা দেখা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই সময়ের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়ে শরীরে, বাড়ে বিপদ। উত্তর প্রদেশে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ। এখনো পর্যন্ত ৮৯ জনের শরীরে পাওয়া গেছে জিকা ভাইরাস। উত্তরপ্রদেশে গত রবিবার জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে ১০ জন, গত শনিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৩ জন। কানপুরের জেলাশাসক বিশাক জি জানালেন, গত ৬ ই নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন এই ভাইরাসে। স্বাস্থ্য দপ্তরের রেসপন্স টিমের সদস্যরা আক্রান্তের বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন।

এরপর শনিবার আবার যখন জিকা ভাইরাসের সংক্রমনের খবর আসে, তখনই দ্রুত রাজ্য প্রশাসন বৈঠকে বসে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন যে, কানপুরে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে। সমস্ত হাসপাতালে এজন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যারা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে সর্বদা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!