এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জলের মতো টাকা খরচ, তবুও জল যন্ত্রণা মিটছে না কলকাতাবাসীর, পৌরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

জলের মতো টাকা খরচ, তবুও জল যন্ত্রণা মিটছে না কলকাতাবাসীর, পৌরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  কলকাতার জল যন্ত্রণাকে মেটাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে পৌরসভার পক্ষ থেকে। 2020-21 আর্থিক বর্ষে নিকাশির জন্য প্রায় 280.32 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সামান্য বৃষ্টিতেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকার জলমগ্ন হতে দেখা যাচ্ছে। আর শুধু জলমগ্ন থাকাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে সেই জল আটকে থাকার কারণে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই এই পরিস্থিতিতে প্রচুর টাকা বরাদ্দ করেও লাভের লাভ কি হচ্ছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে জনতা জনার্দনকে। অনেকে বলছেন, ইট-কাঠ-পাথরের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে জমা জল মাটিতে প্রবেশ করতে পারছে না। তার ফলেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। তাই কোটি কোটি টাকা খরচ করেও আসল সমস্যা নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না।

আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে এত টাকা খরচ করে কেন সেই টাকা নষ্ট করা হচ্ছে? কেন আগেভাগে পরিকাঠামো না গ্রহণ করে জমা জল থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পৌরসভা এত কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে? তাহলে কি শুধুমাত্র গোটা কাজের পেছনে লোকদেখানো উদ্দেশ্য রয়েছে, নাকি সদিচ্ছা রয়েছে পৌরসভার? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাটমসফেরিক সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত কুমার মিদ্যা বলেন, “শহরে হিট আইল্যান্ড তৈরি হচ্ছে। ফলে সেখানকার হাওয়া গরম হয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে। সেই শূন্যস্থান পূরণে চলে আসছে জলীয় বাষ্পপূর্ণ মেঘ। তার ফলে এলাকাভিত্তিক মেঘ তৈরি হয়। সেখানে কম বা বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এলাকাভিত্তিক বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে নিকাশি পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজন।” কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা না হওয়াতেই পৌরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে পৌরসভার পক্ষ থেকেও যথেষ্ট যুক্তি দেওয়া হচ্ছে এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার নিকাশি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত তারক সিংহ বলেন, “সারা বছর ধরে পলি নিষ্কাশন সহ নিকাশি পরিকাঠামোর কাজ করা হয়। 2010 থেকে 15 সালে 1 লক্ষ 63 হাজার মেট্রিকটন পলি নিষ্কাশন করা হয়েছিল। আর 2015 থেকে 20 সাল পর্যন্ত এই সময়সীমার মধ্যে 7 লক্ষ 78 হাজার মেট্রিক টন পলি তোলা হয়েছে। ফলে আগামী বছরে জল জমার সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।” একইভাবে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র‌ এদিন তিনি বলেন, “চলতি বর্ষায় আপৎকালীন কিছু পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। পরেরবার বর্ষার আগে খাল সংস্কারের সার্বিক কাজ করা হবে।” সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা সকলেই বলছেন, তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে লাভের লাভ কি হল?

এত টাকা বরাদ্দ করার পরেও যদি আসল সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে কেন আগেভাগে এত কোটি টাকা বরাদ্দ করে দেওয়া হল? পরিকাঠামো তৈরি করে অর্থ বরাদ্দ করলে সেই অর্থের সুফল হত। কিন্তু তা না করাতেই এখন পৌরসভার বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন একাংশ। যদিও বা এই সমস্ত কিছুকে সম্পূর্ণভাবে বিলীন করে পৌরসভার পক্ষ থেকে নিকাশি ব্যবস্থার জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!