এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জলোচ্ছাসে ভেসে আসা মরা মাছ খাওয়ার নিদান মমতার, হতবাক রাজ্যবাসী!

জলোচ্ছাসে ভেসে আসা মরা মাছ খাওয়ার নিদান মমতার, হতবাক রাজ্যবাসী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভয়াবহ দুর্যোগ ইয়াসের ফলে এবং নদীতে ভরা কোটাল থাকার কারণে সমুদ্রের প্রচুর মাছ ডাঙায় ভেসে আসতে শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনিতেই নদীর মাছ খাওয়া নিয়ে রাজ্যবাসী কিছুটা হলেও আতঙ্কে রয়েছেন। কিন্তু তার মাঝেও একের পর এক মরা মাছ ভরা কোটালের কারণে ডাঙায় ভেসে আসার জেরে মাথায় হাত পড়েছে মৎস্যজীবীদের।

আর আশ্চর্যজনক ভাবে ভেসে আসা সেই মরা মাছ কিভাবে খাওয়া যায়, তার পথ বাতলে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মন্তব্যে কার্যত হতচকিত গোটা রাজ্যবাসী। কেন এইভাবে মরা মাছ খাওয়ার নিদান দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে নানা মহলে শুরু হয়েছে চর্চা।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুর্যোগ-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে ভিডিও কনফারেন্সে অনেক প্রশাসনিক কর্তারা এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। আর সেই বৈঠক থেকেই রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিবের উদ্দেশ্যে একটি নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অনেক মরা মাছ নদী থেকে ভেসে এসেছে। ফলে সেই মাছগুলোকে কিভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে যাতে এক্সপার্টদের মতামত নেওয়া হয়, তার জন্য মৎস্য দপ্তরের কর্তাকে নির্দেশ দিতে দেখা যায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। এদিন এই প্রসঙ্গে নবান্নের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা যেমন কি করি! এটা সাধারণ বুদ্ধি। আমরা মাছে নুন হলুদ মাখিয়ে রেখে দিই। তাহলে কিন্তু মাছটা ভালো থাকে। এই যে মাছটা মরে গেছে, এই মাছটা নষ্ট না করে বাংলা লোকেরা তো মাছ খেতে ভালোবাসে। যদি শারিরিক ভাবে কোনো ক্ষতি না হয়, তাহলে সেই মাছগুলোকে তুলে নিয়ে নুন, হলুদ দিয়ে মাখিয়ে সেগুলোকে পুরো রোদ্দুরে শুকিয়ে ড্রাই করার ব্যবস্থা করে সেটাকে যদি আমরা ফ্রাই করে বিক্রি করতে পারি, তাহলে কিন্তু লোকে সেটা গ্রহণ করবে। সেটা বাড়িতে ঝোল করে খেতে পারবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরই নানা মহলে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অনেকে বলছেন, প্রশাসনিক প্রধান কি এই ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন? যেখানে রাজ্যবাসীকে সুরক্ষা দেওয়া তার প্রধান কর্তব্যের মধ্যে পড়ে, সেখানে নদীর থেকে ভেসে আসা মরা মাছ খাওয়ার নিদান কিভাবে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী? তবে একাংশ বলছেন, কথায় আছে, বাঙালি মাছে ভাতে। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাঙালি হিসেবে মাছ খেতে অত্যন্ত ভালোবাসেন।

তাই ঘরের মেয়ে হিসেবে যেমন ভাবে তিনি মাছ রান্না করেন, ঠিক তেমনভাবেই এই মরা মাছ নষ্ট না করে কিভাবে তাকে টাটকা করে রাজ্যবাসীর স্বাদের কাজে ব্যবহার করা যায়, তার জন্যই এক্সপার্টদের পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। যাকে স্বাগত জানাচ্ছেন একাংশ। কিন্তু এইভাবে কি মরা মাছকে টাটকা করে তা রাজ্যবাসীর স্বাদের কাজে ব্যবহার করা যাবে! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর চর্চা শুরু রাজ্যজুড়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!