এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জল্পনা বাড়িয়ে পার্থর বাড়িতে হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক, কারণ ঘিরে গুঞ্জন!

জল্পনা বাড়িয়ে পার্থর বাড়িতে হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক, কারণ ঘিরে গুঞ্জন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিজেপি বাংলায় 200 আসন দখল করতে না পারার পরই গেরুয়া শিবিরের ভাঙ্গন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। মুকুল রায়ের মত হেভিওয়েট নেতা বিজেপি ছেড়ে ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আরও অনেকে গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর তার মাঝেই এবার তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের পারোলৌকিক ক্রিয়াকর্মের অনুষ্ঠানে হাজির হতে দেখা গেল মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে। যাকে ঘিরে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, এটা সম্পূর্ণরূপে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। এর সঙ্গে রাজনীতি বা জল্পনা খোঁজার কোনো কারণ নেই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়। যেখানে শাসকদলের প্রায় সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিতি দেখা যায় মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ককে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের পারোলৌকিক অনুষ্ঠানে এসে তার মায়ের ছবিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে পার্থবাবুর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন মনোজবাবু। তবে গোটা ব্যাপারটি সৌজন্যমূলক হলেও, এর পেছনে রাজনৈতিক জল্পনা থেকেই যাচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপির নানা বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এমনকি সম্প্রতি তৃণমূল নেতা মুকুল রায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে বিজেপির শেষের শুরু হল। সেদিক থেকে উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মনোজবাবুর পার্থবাবুর বাড়িতে এসে তার মায়ের পারলৌকিক ক্রিয়াতে অংশগ্রহণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা এই সমস্ত বিষয়কে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। এদিন তিনি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার অন্তরের টান। বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও ওনার সঙ্গে মনের যোগাযোগ রয়েছে। তাই ছুটে আসা, পাশে থাকা। এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক সংযোগ নেই। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। পরিষদীয় রাজনীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তাই তার মাতৃবিয়োগের পর যেমন তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম, তেমনই আজ ওনার মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছি। এরমধ্যে দয়া করে কোনো রাজনৈতিক সমীকরণ খুঁজবেন না।”

বলা বাহুল্য, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যখন বিজেপিকে রাজ্য বিধানসভায় কার্যত আতসকাঁচ দিয়ে দেখা যেত, ঠিক তখনই বিজেপির পরিষদীয় নেতার দায়িত্ব সামলেছেন এই মনোজবাবু। কিন্তু বর্তমানে বিজেপির 75 জন বিধায়ক রয়েছেন। সেদিক থেকে বিধানসভায় বিজেপির শেষ কথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মনোজবাবুর মত অভিজ্ঞ নেতাদের গুরুত্ব কমছে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদিও বা তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে সেই মনোজবাবু তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের পারলৌকিক ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে নয়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক্ষেত্রে সৌজন্যতার দিকটি যেমন উঠে এল, ঠিক তেমনই জল্পনা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেল বলেই দাবি পর্যবেক্ষকদের। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র সৌজন্যতার কারণেই মনোজবাবুর পক্ষ থেকে পার্থবাবুর বাড়িতে উপস্থিতি, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!