প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির যে সঠিক মুখ নেই, সেই ব্যাপারে গেরুয়া শিবিরকে বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের কড়া আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে।কিন্তু কিছুদিন আগেই কলকাতায় বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে হেভিওয়েট সুপারস্টার তথা মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার পরেই বিজেপি মিঠুন চক্রবর্তীকে তাদের মুখ হিসেবে ব্যবহার করবে বলে জল্পনা তৈরি হতে শুরু করে। এমনকি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মিঠুন চক্রবর্তী লড়াই করবেন বলেও নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়।

তবে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওঠার সময়ই হেভিওয়েট এই সুপারস্টার জানিয়ে দেন, তিনি নির্বাচনী লড়াই করবেন না। বরঞ্চ বিজেপির হাত শক্ত করবেন। স্বাভাবিক ভাবেই এরপর নানা মহলে নানা জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হলেও, মিঠুন চক্রবর্তীকে বিজেপি প্রার্থী করে কিনা, তা নিয়ে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। আর এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী লড়াই করার ব্যাপারে কার্যত না করে দিলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তী নির্বাচনী লড়াই করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যেখানে তিনি জানিয়ে দেন, মিঠুন চক্রবর্তী নিজে যদি ভোটে লড়তে নাও চান, তাহলে দল তার সঙ্গে কথা বলবে। স্বাভাবিক ভাবেই এরপর থেকেই জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি হতে শুরু করে। তাহলে কি মিঠুন চক্রবর্তীকে নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নামাবে ভারতীয় জনতা পার্টি!

এমনকি এই বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক তারকা প্রার্থীরাও তাদের প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নিজের অবস্থান জানিয়ে দিলেন মহাগুরু। এদিন তিনি বলেন, “আমি প্রার্থী হতে চাই না। শুধু বিজেপির হয়ে ভোটের প্রচারেই থাকতে চাই।” স্বভাবতই মিঠুন চক্রবর্তীর এই ধরনের বক্তব্য যে যথেষ্ট গুঞ্জনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, তা বলাই যায়।

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, মিঠুন চক্রবর্তী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার পর বিজেপি অনেকটাই উজ্জীবিত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি দলের অনেকে আশা করতে শুরু করেছিলেন, আগামীদিনে মিঠুন চক্রবর্তীকেই মুখ করে এগোবে গেরুয়া শিবির। যার ফলে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে এমনকি মিঠুন চক্রবর্তীকে মুখ করে এগোলে তৃণমূল অনেকটাই চাপে পড়বে বলে দাবি করে একাংশ।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার গোটা বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিলেন মহাগুরু। তিনি যে নির্বাচনে দাঁড়াতে চান না, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে দেখা গেল তাকে সব মিলিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী এই ধরনের বক্তব্য রাখলেও, বিজেপির পক্ষ থেকে তার এই আবেদনকে কতটা মান্যতা দেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।