এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জল্পনার মাঝেই রাজনীতিতে থাকতে মমতাকে নয়া শর্ত চিরঞ্জিতের! জেনে নিন

জল্পনার মাঝেই রাজনীতিতে থাকতে মমতাকে নয়া শর্ত চিরঞ্জিতের! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –দলবদল বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা যেমন রয়েছেন, ঠিক তেমনই রয়েছেন বাংলার বিশিষ্ট মানুষরা। অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ অনেক বিশিষ্টজনেরা এখন যোগ দিয়েছেন পদ্মফুল শিবিরে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট বিধায়ক তথা বিশিষ্ট অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর হঠাৎ করেই রাজনীতিতে না থাকার কথা রীতিমত জল্পনা বাড়িয়ে দেয়।

অনেকেই দাবি করতে শুরু করেন এবার হয়তো চিরঞ্জিতবাবুর বিজেপিতে যোগদান করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। সাময়িকভাবে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার জন্য রাজনীতিতে থাকবেন না বলে এই ধরনের মন্তব্য করছেন বলে রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনীতিতে থাকার জন্য নয়া শর্ত দিলেন বারাসাতের তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।

প্রসঙ্গত, বুধবার চিরঞ্জিত চক্রবর্তী আর রাজনীতিতে থাকবেন না বলে খবর পাওয়া যায়। আর এই পরিস্থিতিতে তাকে নিয়ে গুঞ্জন ক্রমশ তীব্র হতে শুরু করে। স্বাভাবিক ভাবেই এমতাবস্তায় তৃণমূলের অন্দরমহলে তীব্র তৎপরতা তৈরি হয়। দলবদলের গুঞ্জন তৈরি হয় এই তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে। আর এই পরিস্থিতিতে রীতিমত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিলেন সেই চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। জানা গেছে, এদিন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি যদি টিকিট না পান, তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। তার পুরনো পেশায় ফিরে যাবেন এই বিশিষ্ট অভিনেতা।

স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচনের টিকিট পাওয়ার জন্য তৃণমূল বিধায়ক যেভাবে দলের সুপ্রিমোকে রীতিমত শর্ত বেঁধে দিলেন, তাতে এখন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব যে যথেষ্ট চাপে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে টিকিট না দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস? আর সেই কথা তার কানে আসার সাথে সাথেই রীতিমতো রাজনীতিতে না থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন এই অভিনেতা? এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলের টিকিট নিয়ে দলের অন্দরে যে যথেষ্ট সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা এই ঘটনা থেকেই আরো একবার পরিষ্কার হয়ে গেল। বর্তমান বিধায়কদের অনেককেই এবার টিকিট দেওয়া হবে না বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। সেদিক থেকে যদি তারা টিকিট না পান, তাহলে তারা বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারেন। আর এই পরিস্থিতিতে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর মত হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক এবং অভিনেতার হঠাৎ করেই রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার কথা বলায় রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়। তবে তিনি কেন রাজনীতিতে থাকবেন না, তা এবার স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে জানিয়ে দিলেন চিরঞ্জিতবাবু।

যেখানে সরাসরি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে যে যথেষ্ট প্রত্যাশী, তা নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে প্রবল লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বেশিরভাগ বিধানসভা কেন্দ্রে কারা টিকিট পাবে, তা নির্ধারণ করবে প্রশান্ত কিশোরের টিম বলেই মনে করছেন একাংশ। সেদিক থেকে কি বারাসাতে তৃণমূল প্রার্থী এবার বদল হতে চলেছে? ডানা ছাটা হতে চলেছে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর!

আর সেই কারণেই বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা শুনিয়েছিলেন তিনি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে আগামী দিনে যদি টিকিট দেওয়া না হয়, তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে মন্তব্য করার পর সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়ে দেখা দিতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতিতে ‌ এখন চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর এই ধরনের শর্তে কতটা রাজি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বারাসাত বিধানসভা নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেন তিনি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!