এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জমজমাট রাজনীতি: কৃষিবিল নিয়ে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে মমতার ভূমিকা নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন!

জমজমাট রাজনীতি: কৃষিবিল নিয়ে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে মমতার ভূমিকা নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বরাবর বিজেপি বিরোধিতায় গোটা দেশে নিজেকে মধ্যমণি করে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় বিভিন্ন ইস্যুতে সকল বিরোধী দলকে বিজেপির বিরুদ্ধে একাট্টা করতে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে তাকে। তবে বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিজেপি বিরোধীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলার দুই দল বাম এবং কংগ্রেস। তারা প্রশ্ন করেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে বিজেপির বিরোধিতা করলেও, কাজে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। তাই বাংলায় কুস্তি এবং দিল্লিতে গিয়ে দোস্তি করছেন তিনি।

তবে এনআরসি থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে সংসদের ভেতরে এবং বাইরে প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে, আবার কখনও বা রাস্তায় নেমে নিজের বিজেপি বিরোধীতার অবস্থানকে স্পষ্ট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কৃষি ঋণ নিয়ে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপির বিরোধিতা এবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গেল। বলা বাহুল্য, এই কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সংসদে প্রতিবাদ করে আইনভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের দুই সাংসদ সহ মোট 8 জন সাংসদের বিরুদ্ধে।

যার পরেই তাদের রাজ্যসভা থেকে কিছু দিনের জন্য বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে তা নিয়ে ব্যাপক আন্দোলনে নামার কথা জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গোটা দল আন্দোলনে নামলেও সেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে অতীতের নানা ইস্যুতে তিনি পথে নামলেও এই ইস্যুতে রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি তৃণমূল নেত্রীকে। যার ফলে কিছুটা হলেও প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। আর এবার সেই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করল বাম এবং কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় এই কৃষি বিল আইনে পরিণত হয়েছে। যেখানে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর তারপরেই এই গোটা ঘটনার প্রতিবাদে অনশনে বসতে চলেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। আর এই ঘটনার পরবর্তী সময়কালে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে কৃষি বিরোধিতার কথা বলছেন, সেই তিনি একসময় কৃষকদের সাথে লড়াই করে বামেদের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল? কেন এখন বিজেপির বিরুদ্ধে সেই ইস্যুতে লড়াই করতে গিয়ে পিছপা হচ্ছেন? কেন তাকে সেভাবে ময়দানে দেখা যাচ্ছে না! তাহলে কি এর পেছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্য কোনো রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে? নাকি বিজেপির প্রতী সুর নরম করতে শুরু করেছেন তিনি? এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এই প্রশ্ন ওঠায় এখন যে ব্যাপক চাপে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রী, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে “বিজেপির সখী” বলে আক্রমণ করা হয়েছে। একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গে একসময় কৃষকদের স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে বাম সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ অনশনের মধ্য দিয়ে তৎকালীন বাম সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যার ফলে তার ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই তৃণমূল নেত্রী যখন কথায় কথায় বিজেপি বিরোধিতা করেন, তখন তার কাছে কৃষকদের স্বার্থ জনিত এত বড় ইস্যু থাকলেও কেন শুধুমাত্র মুখেই প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে তাকে?

কেন তিনি প্রকাশ্যে আন্দোলন করছেন না! বিরোধীদের বক্তব্য, আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে কিছুটা সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছেন। নিজের দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বাঁচাতে বিজেপির বিরুদ্ধে সেভাবে পথে নামতে চাইছে না তিনি। কিন্তু এভাবে নীরবে থেকে বিজেপি বিরোধীতার প্রমাণ দিতে পারবেন না তৃণমূল নেত্রী। তার আসল মুখোশ খুলে গিয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষক বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও সেভাবে রাস্তায় না নামা নিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে সরব হল বাম এবং কংগ্রেস। এখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!