এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য বাংলা? বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতেই তৃণমূল-বিজেপির তরজা!

জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য বাংলা? বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতেই তৃণমূল-বিজেপির তরজা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি কলকাতা থেকে তিন জেএমবিএ জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে। আর তারপরেই উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। যেখানে ফেরিওয়ালার রূপ ধরে এই তিন জঙ্গি বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতার হরিদেবপুরে বসবাস করতে শুরু করেছিল। অর্থাৎ তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল, নাশকতার ছক কষা। কিন্তু গোয়েন্দারা অবশ্য সেই ছক ভেঙে দিয়েছে। তবে এই ঘটনা য় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বর্তমান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে বাংলাকে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।

আর তিন জঙ্গি গ্রেফতার হতে এবং তাদের এভাবে বাংলায় ঘাটি গাড়ার ব্যাপারটি সামনে আসতেই রীতিমতো আরও বেশি করে শাসকদলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। তবে রাজ্য প্রশাসনের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরে যেভাবে তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকে সাধুবাদ দেওয়া উচিত বলে পাল্টা দাবি করতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। স্বাভাবিকভাবেই তিন জঙ্গি গ্রেফতার হতেই তৃণমূল এবং বিজেপির তরজা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ‌। এদিন তিনি বলেন, “বাংলা হল জঙ্গিদের গড়। মনিপুর, পাঞ্জাব এমনকি বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা তাড়া খেলে এখানে ঢুকে পড়ে। দিদিমণি তাদের খুব ভালো শেল্টার। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় নেমে গিয়েছে, এটাই তার প্রমান।” যদিও বা বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই ধরনের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, “এখানে ধরা পড়েছে বলে তো পুলিশের প্রশংসা করা উচিত। লখনৌতেও তো জঙ্গি ধরা পড়ছে। তাহলে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।” অর্থাৎ বিজেপির পক্ষ থেকে বাংলা নিয়ে যখন কটাক্ষ করা হচ্ছে, তখন পাল্টা বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের কথা তুলে ধরে গেরুয়া শিবির চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। স্বাভাবিকভাবেই জঙ্গী উপদ্রব নিয়ে যখন গোয়েন্দারা গোটা বিষয়টি সামাল দিতে তৎপরতা অবলম্বন করছেন, তখন শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার বাংলায় জঙ্গি ধরা পড়ার ঘটনা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। এক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনের গা ঢিলেমির বিষয়টিকে সামনে আনতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। আর এবার খাস কলকাতার বুক থেকে তিন জেএমবিএ জঙ্গির গ্রেপ্তার হতেই বাংলা যে নিরাপদ নয়, সেই বিষয়টি তুলে ধরতে শুরু করেছে বাংলার বর্তমান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে যতই কটাক্ষ করা হোক না কেন, রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকেই যে এই ব্যাপারে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত, সেই কথা তুলে ধরতে ব্যস্ত ঘাসফুল শিবির। আর এই সমস্ত কিছু দেখে সাধারণের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখন রাজনৈতিক তরজা বাদ দিয়ে বাংলা যাতে নিরাপদ থাকে, তার দিকেই নজর দেওয়া উচিত শাসক থেকে শুরু করে বিরোধীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!