এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘জঙ্গলমহলের জননেতা’র কর্মসূচি মানুষের কাছে পৌঁছাতে স্বধীনতা দিবসে ময়দানে শুভেন্দু-বাহিনী

‘জঙ্গলমহলের জননেতা’র কর্মসূচি মানুষের কাছে পৌঁছাতে স্বধীনতা দিবসে ময়দানে শুভেন্দু-বাহিনী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের দাপুটে যোদ্ধা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর নামটি যথেষ্টভাবে পরিচিত। তৃণমূল দলের হয়ে একাধিক অনুর্বর জেলায় তিনি ঘাসফুলের চাষ বেশ সফলভাবেই করতে পেরেছেন, এ কথা অনেকেই বলে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল দলের সাংগঠনিক কিছু রদবদলের জন্য মুর্শিদাবাদ সহ বেশকিছু জেলা শুভেন্দু অধিকারীর হাতছাড়া হয়েছে।

দলের মধ্যেও তিনি যেন কিছুটা ম্রিয়মাণ বা ফিকে হয়ে পড়েছেন, এমনটাই দাবি করে থাকেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দলের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়াতেই, তিনিও যেন দলের সঙ্গে সেফ ডিসটেন্স রেখে চলতে শুরু করেছেন। এই কারণেই দলের বেশ কিছু অনুষ্ঠান থেকে তিনি যেমন নিজেকে দূরে রেখেছেন তেমনি সম্প্রতি বেশ কিছু অনুষ্ঠান পালন করেছেন নিজের উদ্যোগে অভিনব ভাবে।

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর নামটি কিন্তু শুধু মাত্র একজন মন্ত্রীর নাম নয়, একজন জননেতা হিসেবে তিনি কিন্তু যথেষ্ট জনপ্রিয়। জননেতা হিসাবে বারবার তিনি বিভিন্ন সেবামূলক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা দিবসের দিন তিনি জঙ্গলমহলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দিলেন বিশেষ খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট।

সংবাদসূত্রে জানা গেছে স্বাধীনতা দিবসের দিনে জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জেলার ৩০০০ শবর পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী। শোনা গেছে, তাঁর অনুগামীরা এদিন নিজেদের বুকে জাতীয় পতাকা সেটে নিয়েছিলেন। তাঁর অনুগামীদের ব্যানারে শুভেন্দু বাবুর ছবি ছিল, আর ছবির সঙ্গে লেখা ছিল ‘জঙ্গলমহলের জননেতা’ কথাটি। তবে. গোয়ালতোড় অঞ্চলের স্বাধীনতা দিবসের কর্মূসূচির ফ্লেক্সে আবার, শুভেন্দু অধিকারীর ছবির সঙ্গেই ‘মাননীয় মন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার’ কথাটি লেখা ছিল। উল্লেখ্য, শনিবার ও রবিবার দুদিন ধরেই গোয়ালতোড়ের আদিবাসীদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীর অধিনস্তরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবসের দিনে অর্থাৎ গত শনিবারে জঙ্গলমহলের ঝারগ্রাম  জেলার মোট আটটি ব্লকের মধ্যে ৬টি যেমন জামবনি, বেলপাহাড়ি, লালগড়, নয়াগ্রাম, সাকরাইল, ঝারগ্রাম গ্রামীণ ছাড়াও খড়গ্রাম শহরাঞ্চলে বসবাসকরা লোধা, শবর পরিবারগুলির কাছে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।  শুভেন্দু অধিকারী সমর্থনকারী তৃণমূল কর্মীরা  এদিন তাদের বিতরণ করা খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেটে ছিল আপেল, মুসাম্বি, বিস্কুট, চানাচুর, গুঁড়ো দুধ, মুড়ি, সয়াবিন, সর্ষের তেল সহ সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক ও সেইসঙ্গে একটি জাতীয় পতাকাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের এই কর্ম যজ্ঞের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই লোধা, শবর গ্রামগুলিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী অনুগামীদের । গত শনিবার ভোরবেলা থেকে শুরু হয় খাদ্য সামগ্রী বিলির অনুষ্ঠান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর অধীনস্তদের এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির ভিডিও অল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। যদিও এই ভিডিওগুলি সত্যতা যাচাই করা ইতিমধ্যেই আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আদিবাসী পরিবারগুলির হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেবার সময় শুভেন্দু অধিকারী অনুগামীদের বলতে দেখা গেছে, ” জঙ্গলমহলের দাদা শুভেন্দু অধিকারী তোমাদের জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছেন। এই দেখো দাদার ছবি। সবাই মনে রাখবে এটা শুভেন্দুদা দিয়েছে। শুধু তোমাদের জন্য।’’

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা এতটা ঘটা করে জঙ্গলমহল বাসীদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন, কিন্তু বিষয়টি অজ্ঞাতই রয়ে গেল ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের কাছে। এ প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুব্রত সাহা বলেছেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের দিনে জেলা জুড়ে দলের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা কর্মসূচি হয়েছে। লোধা-শবরদের খাদ্যসামগ্রী বিলির কোনও কর্মসূচি আমাদের জানা নেই।’’  আর এই বক্ত্যবের পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!