এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেলেও, সরছে নাগাবাহিনী! ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেলেও, সরছে নাগাবাহিনী! ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবার মাওবাদী হানার আশঙ্কা জঙ্গলমহলে। প্রায় আড়াই বছর ধরে বাংলা ও ঝারখন্ডের সীমানায় মাওবাদী নেতা আকাশ তার দলবল নিয়ে ঘোরাফেরা করছে, এই তথ্য জানার পরই ঘুম উড়েছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের। তার উপরে আজ সোমবার জঙ্গলমহলে মাওবাদী নিয়ন্ত্রণে প্রায় এক দশক ধরে নিযুক্ত নাগা বাহিনী পুরুলিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে।

গত ১৮ ই আগস্ট বাংলা ঝাড়খন্ড আন্তঃরাজ্য সমন্বয় বৈঠকে ঝাড়খন্ড পুলিশের কাছ থেকে জানা গেছে, পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান এর নিকটবর্তী ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার গালুডি ও এমজিএম থানা এলাকায় সম্প্রতি মাওবাদী নেতা অসীম মণ্ডল বা আকাশকে তার দলবল নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। প্রায় আড়াই বছর ধরে এই অসীম মন্ডল ছিল সম্পূর্ণ বেপাত্তা। এই অসীম মন্ডল সিপিআই (মাওবাদী) রাজ্য সম্পাদক। অকস্মাৎ তাঁর খোঁজ মেলায় রাজ্য ও কেন্দ্র পুলিশ বা নিরাপত্তাবাহিনীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। প্রসঙ্গত, অতুল মাহাতো, শচীন মান্ডি, মদন মাহাতোর মতো মাওবাদী নেতাদের খোঁজ মিললেও অসীম মন্ডল বহুকাল নিখোঁজ ছিল।

প্রসঙ্গত নাগাল্যান্ডে সম্প্রতি জঙ্গী তৎপরতা যথেষ্ট ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নাগাল্যান্ডকে শান্ত করতে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ানের ১৪ নম্বর বাহিনী প্রায় এক দশক পরে আজ সোমবার একটি বিশেষ ট্রেনে পুরুলিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছেন ডিমাপুর।ইতিপূর্বে, বলরামপুরের কুমারীকানন, পাথরবাঁধ, কোটশিলার মুরগুমার, বাঘমুন্ডির পিপিএসপি, অযোধ্যার হিলটপ, আড়শার সিরকাবাদ অঞ্চলে নাগা বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। এই নাগা বাহিনী দীর্ঘসময় ধরে পুরুলিয়া থাকায়, আজ পুরুলিয়া ছেড়ে যেতে তাঁরাও দুঃখিত। কারণ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাদের বেশ সখ্যতা হয়ে উঠেছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে নাগা বাহিনীর সিও মন্ডকো ইয়াচুং বলেছেন , “ পুরুলিয়ায় ডিউটি করার অভিজ্ঞতা ভুলতে পারব না। ঘরে ফিরলেও পুরুলিয়ার জন্য মনখারাপ লাগছে।” কিন্তু জঙ্গলমহলের নিরাপত্তার এখনো পর্যন্ত সিআরপিএফর নতুন বাহিনী জঙ্গলমহলে এসে পৌঁছতে পারেনি । তাই রাজ্য পুলিশের স্ট্র্যাকো ও জুনিয়র কনস্টেবল অ্যাসল্ট বাহিনী বাহিনীর উপরে এই অঞ্চলটির দায়িত্বভার পড়ছে।

এর ফলেই জঙ্গলমহলের নতুন করে মাওবাদী হানার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সিআরপিএফের আইজি (পশ্চিমবঙ্গ) প্রদীপ কুমার সিং জানিয়েছেন, “আপাতত নাগা বাহিনীর ওই ক্যাম্পগুলিতে রাজ্য পুলিশ দায়িত্ব নেবে। তারপর ধাপে ধাপে সিআরপিএফ যাবে। প্রথম ধাপে দু’কোম্পানি, পরের ধাপে আরও দু’কোম্পানি বাহিনী ওই শিবিরগুলির দায়িত্ব নেবে বলে সম্প্রতি দুর্গাপুরের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”

সিআরপিএফ সূত্রের খবর সম্প্রতি শ্রীনগরে ধস নামার কারণে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ১৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের E ও G স্কোয়াড পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছাতে পারছে না। যারা পুরুলিয়া জেলার বলরামপুরের কুমারীকানন ও কোটশিলার মুরগুমার এর দায়িত্ব নিতে চলেছে।  এ প্রসঙ্গে সিআরপিএফের আইজি (পশ্চিমবঙ্গ) প্রদীপ কুমার সিং জানিয়েছেন, “বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আমাদের বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!