জনজোয়ার কাকে বলে নিজের গড়ে দেখিয়ে দিলেন অর্জুন সিংহ! নিয়ম ভাঙার অভিযোগে আটকালো পুলিশ! নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 31, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের সম্প্রতি করোণা পরিস্থিতিতে রাজ্যে সমস্ত রকম জামায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তা সে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় হোক কিংবা সাংস্কৃতিক হোক। সরকারের তরফ থেকে সব সময় বলা হয়েছে মাস্ক পরিধান করতে, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে। এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোন রাজনৈতিক দল যদি মিছিল তথা জনসমাগমের আয়োজন করে পুলিশ সেখানে বাধা দেবেই এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। কারণ মানুষকে সচেতন করা পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের কোন বিরোধী দল যদি এই পরিস্থিতিতে জমায়েত মিছিল করতে যায়, সেই মিছিল রোধ করতে পুলিশ যতটা তৎপর, ততটা পুলিশের তৎপরতা দেখা যায় না যদি শাসক দলের কোন শাসক দলের কোনো নেতা, মন্ত্রী জমায়েত করেন। সেখানে আশ্চর্য রকম ভাবে নীরব থাকতে দেখা যায় পুলিশকে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে পুলিশের প্রতি এমনতরো অভিযোগ বারবার উঠে এসেছে। এমনকি পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও বারবার প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের বিরোধীমহল। বহুবার বিরোধীমহল থেকে অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ বর্তমানে আর নিরপেক্ষ নেই তারা শাসকদলের শাসন যন্ত্রে পরিণত হয়েছেন। প্রসঙ্গত গত রবিবার রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নিমতায় একটি চা চক্রের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে চা-চক্র অনুষ্ঠানের ঠিক আগের দিন অর্থাৎ গত শনিবার সন্ধ্যা বেলায় এই অনুষ্ঠান মঞ্চ ভেঙে ফেলা হয়। আর এই মঞ্চ ভেঙে ফেলার জন্য বিজেপি অভিযুক্ত করেছে শাসকদল তৃণমূলকে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ রবিবার নিমতার দুর্গা নগর পোস্ট অফিস থেকে নিমতা থানা পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিলের আহবান জানিয়ে ছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সংসদ অর্জুন সিং। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অর্জুন সিং এর ডাকা এই প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে একত্রিত হয়েছিলেন প্রায় ২ হাজার মানুষ। দুর্গানগর অঞ্চলে এই বিজেপি সদস্যরা একত্রিত হয়েছিলেন। কিন্তু আজ সকালে মিছিল শুরুর আগেই মিছিল রোধ করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ মিছিলকারীদের মধ্যে অনেকের মুখেই কোন মাস্ক ছিল না। তাছাড়া সামাজিক দূরত্ব বিধিও তারা ভঙ্গ করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, করোনা সংক্রমণ কালে এভাবে এরকম জমায়েতকে তাঁরা কিছুতেই অনুমতি দিতে পারেন না। পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকার যে আনলক ফোরের গাইড লাইন বের করেছে সেখানেও ১০০ জনের বেশি জমায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই এভাবে ২০০০ জনের এই মিছিলের অনুমতি কোনভাবেই পুলিশ দিতে পারেনা। বলপূর্বক মিছিল রোধ করতে গেলে শেষপর্যন্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয়। পরে অবশ্য পুলিশের চেষ্টায় স্থানটির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। প্রতিবাদ মিছিল এইভাবে বাধা দান করায় পুলিশের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, বিজেপির সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পুলিশ এভাবেই বাধাদান করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২০২১ এর নির্বাচনে এর উপযুক্ত জবাব দেবে সাধারণ মানুষের। শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করতে ব্যর্থ হয়ে নিমতা থানা ওসির কাছে অর্জুন সিং এর নেতৃত্বে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন বিজেপি সদস্যরা। আপনার মতামত জানান -