এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জনজাতির সমর্থনে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে মাস্টারস্ট্রোক মোদীর, তৈরি রণনীতি!

জনজাতির সমর্থনে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে মাস্টারস্ট্রোক মোদীর, তৈরি রণনীতি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 2014 সালের পর 2019 সালে আরও বেশিসংখ্যক আসন নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় বসেছে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। তবে বর্তমানে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সেই বিজেপি সরকারের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সেদিক থেকে দেশের বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের নিয়ে খুব দ্রুত মহাজোট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে একদিকে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া এবং অন্যদিকে নানা জনবিরোধী ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীরা 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ময়দানে নামবে, তা বলাই যায়।

তাই এই পরিস্থিতিতে মানুষের মন পেতে এবং তৃতীয় বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল করতে এখন থেকেই উদ্যোগী হয়ে উঠেছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আর সেখানেই পিছিয়ে পড়া আদিবাসী থেকে শুরু করে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রতিনিধিত্ব দেখা গিয়েছে। যার ফলে একাংশ দাবি করছেন, এবারের নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জনজাতির সম্প্রদায়কে খুশি রাখতে বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় থেকে একজন করে প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে সাধারণ মানুষের মন জয়ের সুকৌশলী চেষ্টা অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে বাংলা থেকে শান্তনু ঠাকুরকে জায়গা দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বলতে গেলে, শান্তনু ঠাকুর মতুয়া সমাজের প্রতিনিধি। অন্যদিকে একইভাবে পিছিয়ে পড়া জেলা বাঁকুড়া থেকে সুভাষ সরকারের মত চিকিৎসককে মন্ত্রী করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জন বারলাকে মন্ত্রী করে পিছিয়ে পড়া জনজাতিগোষ্ঠীকে সম্মান দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে শুধু বাংলা নয়, উত্তরপ্রদেশ থেকেও যে সাতজনকে মন্ত্রী করা হয়েছে তাদের একজন ব্রাহ্মণ, তিনজন তফশিলি জাতি এবং তিনজন ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত। এছাড়াও কর্ণাটক থেকে শুরু করে ত্রিপুরা, বিভিন্ন রাজ্যে নানা জাতির সম্প্রদায়কে জায়গা দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর বিজেপির এই উদ্যোগ দেখেই একাংশ কার্যত নিশ্চিত যে, আগামী দিনে বিজেপির কাছে বড় হাতিয়ার হতে চলেছে বিভিন্ন জনজাতির সম্প্রদায়ের সমর্থন পাওয়া। আর সেই কারণেই পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে এখন থেকেই নিজেদের জমি পাকাপোক্ত করে নিতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বা বিরোধীদের দাবি, এই সমস্ত কিছু করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। বিজেপি সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি। তাই 2024 সালে তাদের বিদায় নিশ্চিত।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসের অগ্নিমূল্য ইস্যুকে কাজে লাগাতে শুরু করেছে দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এছাড়াও সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার অভিযোগ তুলছেন তারা। শুধু তাই নয়, নোটবন্দি থেকে শুরু করে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক বিষয়কে সামনে নিয়ে এসে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যদিকে বিজেপিও খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় নেই।

কেননা কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার আগে তারা যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণের কথা দিয়েছিল, তার বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি তারা পূরণের পথে এগিয়েছে। সেদিক থেকে তাদের কাছে তুরুপের তাস বলে আর কিছুই নেই। তবে বিরোধীরা বর্তমান পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে বিজেপিকে চেপে ধরেছে। তাই এখন বিভিন্ন জনজাতির সম্প্রদায়কে খুশি করার প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। আর সুকৌশলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে নানা পিছিয়ে পড়া জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের জায়গা দিয়ে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা শুরু করে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে বিজেপির এই চেষ্টা তাদের ভোটব্যাংকে কতটা সাফল্য এনে দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!