এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য কুমার স্বামীর

জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য কুমার স্বামীর


কর্ণাটকে বিজেপি সরকারকে কার্যত পরাস্ত করে কুমার স্বামীর জিডিএস এবং কংগ্রেস জোট সরকার গঠন করে।বিজেপি থেকে বিরোধীরা মনে করেছিলেন এই জোট সরকার খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে না কিন্তু বিরোধীদের সমস্ত আশায় জল ঢেলে এখনো টিকে আছে জোট সরকার। কিন্তু এদিন আবার সেই জোট সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন স্বয়ং কুমারস্বামী। প্রসঙ্গত,আগেও অনেক বার কুমার স্বামীর কিংবা কংগ্রেস নেতাদের মন্তব্যের জেরে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এদিন ফের একবার সেই নিয়েই মন্তব্য করে প্রশ্ন তুলে দিলেন স্বয়ং কুমার স্বামী।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

শনিবার তার দল যে জেডিএস সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে ব্যাঙ্গালুরুতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। সকলে মনে করেছিলেন জোট সরকার হলেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দরুন খুবই আনন্দের সঙ্গেই রাজ্যপাট চালাচ্ছেন কুমার স্বামী। কিন্তু এটা যে কতখানি ভুল তা নিজেই প্রমান করলেন/ এদিন তিনি বলেন, জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া বিষপানের সমান। পুরোপুরি ব্যাখ্যা দিয়ে জানালেন যে তার রাজ্যবাসীর খুশি হয়েছে এটা ভেবে যে তাদের দাদা আজ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন কিন্তু জোট সরকার চালানোটা এত সোজা নয় এর যন্ত্রণা বিষপানের মতই বেদনাদায়ক। এখানেই থেমে থাকলেন না তিনি। সাথে জানালেন গত একমাস ধরে তিনি তার সরকারের সবাইকে ঋণ মুকুবের জন্য বলে বলে রাজি করিয়েছেন।

অথচ সংবাদমাধ্যম তারই সমালোচনা করছেনঅভিযোগ করছে যে তিনি নাকি ঋণ মুকুব এর পক্ষেই নন। এছাড়া অন্নভাগ্য প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক পরিবারকে ৫ কেজি চাল দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কিন্তু সেই পাঁচ কেজিকে বাড়িয়ে এখন সবাই ৭ কেজি চাল চাই বলে দাবি করছেন এজন্য যে আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ হবে তা কোথা থেকে পাবে রাজ্য সরকার? রাজ্য সরকারের কাছে তো সেই টাকা নেই। এরপর তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পরে দাবি করেন যদি প্রয়োজন হয় তিনি দু’ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন। কেননা রাজ্যবাসীর ভালো করার উদ্দেশ্যে এবং তার বাবা এইচ ডি দেবগৌড়া স্বপ্ন পূরণের জন্যই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন যতদিন ঈশ্বর চাইবেন ততদিন তিনি সেই দায়িত্ব সামলাবেন। যেদিনই চাইবেন সেদিনই তিনি এই পথ থেকে সরে দাঁড়াবেন।

তিনি যে কতটা পরিশ্রম করছেন তার বিবরণ দিলেন জানালেন শুধু তিনিই নন তার ছেলেও কোন বিশ্রাম না নিয়ে তার মতোই ১৮ ঘণ্টা কাজ করে চলেছেন কিন্তু এতকিছুর পরেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। কুমার স্বামীর এ মন্তব্যের পর উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর এই নিয়ে সমালোচনা করতে শুরু করলেন তিনি সরাসরি প্রশ্ন করলেন মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে এই ধরণের কথা বলেন কিভাবে বললেন যে তিনি খুশি নন ? একজন মুখ্যমন্ত্রী যদি খুশি না থাকে তাহলে রাজ্যবাসী কিভাবে খুশি থাকবে? এই ব্যাপারে তিনি কুমার স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন অন্যদিকে কান্নাকাটির পরে অসুস্থ বোধ করেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হন কুমারস্বামী।

ফলে ফের একবার জল্পনা ছড়িয়েছে যে তবে কি সত্যিই তিনি খুশি নন সত্যিই তাকে প্রবল চাপের মধ্যে সরকার চালাতে হচ্ছে? আর সেই চাপ আসছে কংগ্রেস থেকে ?যদি এমন কোন চাপ সত্যিই থাকে তবে এই জোট কতদিন চলবে সেই নিয়েও কিন্তু রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠে গেছে। পাশাপাশি এই একটি সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিকমহল। তা হলো রাহুল গান্ধী যেমন বলেছিলেন যে তিনি নিজের মতো সরকার চালাতে পারবেন তেমনি সরকার চালাচ্ছেন কুমারস্বামী কিন্তু কোডাগু জেলার এক কিশোর সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্ট তাঁকে এই কথা বলতে বাধ্য করেছে কেননা ঐ কিশোর লিখেছিলেন কুমারস্বামী আমার মুখ্যমন্ত্রী নন কারণ বন্যায় রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে উপকূলের মৎস্যজীবীরা তাদের নিরাপত্তা এবং ব্যবসা নিয়ে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সেদিকে কোন নজর নেই আর সেই ভাইরাল হয়ে যাওয়া পোস্ট এর পরিপ্রেক্ষিতেই কি এই মন্তব্য জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!