এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জরুরি অবস্থার স্মৃতিচারণায় মোদী, বিরোধী শিবিরে ভাঙ্গনের আশঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা!

জরুরি অবস্থার স্মৃতিচারণায় মোদী, বিরোধী শিবিরে ভাঙ্গনের আশঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ। তদানীন্তন বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ ছিল, নিজেকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে এবং ভারতবর্ষকে বিরোধী শূন্য করতে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এহেন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার এতগুলো দিন বাদেও কংগ্রেস বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সেই সময়ের যে একটা নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে, তা প্রকাশ পেল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ট্যুইটের মাধ্যমে।

সূত্রের খবর, এদিন একটি ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে সিস্টেমমাফিক ভেঙে দিতে দেখা গিয়েছিল। আসুন, আমরা ভারতের গনতান্ত্রিক চেতনা শক্তিশালী করার জন্য যা যা করা সম্ভব, সব করার শপথ নিই। সংবিধানে উল্লিখিত মূল্যভোধগুলিকে যথোপযুক্ত সম্মান করি।” একইভাবে আজকের দিনটি স্মরণে রেখে গনতন্ত্রের পক্ষে কালো পর্ব বলে উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, ভোররাতে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর রেডিওতে কন্ঠস্বরের মাধ্যমে দেশবাসী জানতে পারে, দেশে অভ্যন্তরীণ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এই জরুরি অবস্থার ওপরে ভিত্তি করে গ্রেপ্তার করে নেওয়া হয় দেশের প্রায় সমস্ত কংগ্রেস বিরোধী নেতা- নেত্রীদের। এমনকি একাধিক গন সংগঠনকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমকেও স্বতন্ত্র ভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি।

তবে জরুরি অবস্থার এতগুলো বছর পরে ভারতবর্ষের রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে গিয়েছে। সেই সময় সামনে থেকে এমার্জেন্সির বিরুদ্ধে আন্দোলন করা বহু নেতা- নেত্রীর পার্টি এখন কংগ্রেসের সঙ্গে ইউপিএ সরকারে আবার কখনও বা বিজেপি বিরোধীতায় সোচ্চার হয়েছেন। আর এরই মাঝে প্রধানমন্ত্রীর এহেন ট্যুইট পুরোনো সেই জরুরি অবস্থার ব্যাথাকে জাগিয়ে রাখার কৌশল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

দেশে যখন অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, অঘোষিত এমার্জেন্সি চলছে, তখন বাস্তবিক এমার্জেন্সির ঘটনা এবং তার স্মৃতি উস্কে দিয়ে আগামীদিনে দেশের রাজনীতিকে কতটা প্রভাবিত করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!